লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচী
ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করায় মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি ও ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিতে বঙ্গভবন ও সংসদ অভিমুখে গণমিছিলসহ সাড়ে তিন মাসব্যাপী কমসূচী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন।
শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের সামনে অনুষ্ঠিত মহা সমাবেশ শেষে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন দলটির আমির মুফতি মাওলানা রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার থেকে এ কর্মসূচী শুরু হবে বলে ঘোষণায় জানানো হয়। আগামী ১৮ মার্চ বঙ্গভবন অভিমুখে গণমিছিল এবং অধিবেশন চলার সময় সংসদ অভিমুখে গণমিছিলের কর্মসূচী রয়েছে।
এ ছাড়া ৯ ডিসেম্বর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোড মার্চ, ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আজ সকালে সমাবেশটি জাতীয় প্রেসকাবের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে সেখানে আয়োজন পন্ড হয়ে যায়। এ সময় ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া হয়। আটক করা হয় তিন জনকে।
এ ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামী রোববার হরতাল ঘোষণা করা হয়েছিলো। পরে দলের নেতা কর্মীরা বায়তুল মোকাররমে এসে অবস্থান নেন। জুমআর নামাজ শেষে সেখানে সফলভাবে সমাবেশ করতে পারায় রোববারের হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
কর্মসূচী ঘোষণার আগে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি না হওয়া এবং সংসদে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানরা ঘরে ফিরে যাবে না।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই) বলেন, আল্লাহর রহমতে সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা সমাবেশ করেছি। আগামী রোববার হরতাল হবে না। আজ জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নির্ধারিত সমাবেশ করতে না পেরে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ তাদের মঞ্চ নির্মাণ করতে না দিলেও সমাবেশ করতে বাধা দেয়নি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজয় নগর, প্রেসক্লাব, দৈনিক বাংলা ও জিপিও মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলও বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব ইউনূস আহমদ ও সৈয়দ মোসাদ্দেক আল বিল্লাহ মাদানী প্রমুখ।
এর আগে ২৭শে নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতিও চেয়েছিল তারা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুমোদন না দেয়ায় প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছিল, সমাবেশে বাধা দিলে রোববার হরতাল ডাকা হবে।