বাংলাদেশি তরুণের সাফল্য : জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন
জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ‘হেকমত ইঞ্জিন’ নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশি এক তরুণ বিজ্ঞানী। পৃথিবীর অভিকর্ষ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন দিনাজপুরের তরুণ উদ্ভাবক মো. শহীদ হোসাইন।
এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথাগত কোনো জ্বালানি যেমন তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদির দরকার হবে না। অদ্ভুত এ আবিষ্কারকে বলা হচ্ছে- ‘হ্যভি সারকুলার মুভিং অবজেক্ট’স ট্রাইগেরিং এনার্জি কনভারসন টেকনোলোজি (হেকমত) বা হেকমত ইঞ্জিন।
শনিবার বিকালে ‘হেকমত’ নামে এই ইঞ্জিনটি উদ্বোধন করা হয়। আলটিরাম্যাঙ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জের এ অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম শমশের আলী।
তিনি ‘হেকমত ইঞ্জিন’ নামে প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বলেন, এ প্রযুক্তিতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ কয়েকগুণ কম দামে উৎপাদন সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে এ প্রযুক্তিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৭৫ পয়সা। অথচ দেশে বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ৬ থেকে ৮ টাকা।
ড. এম শমশের আলী বলেন, গাজীপুরের টঙ্গীতে পরীক্ষামূলকভাবে ৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি হেকমত ইঞ্জিন গত দুই বছর ধরে সফলতার সঙ্গে চলছে।
জনবান্ধব এ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী প্লান্ট স্থাপনের জন্য সরকারসহ বেসরকারি উদ্যোগতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এ বিজ্ঞানী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় বাণিজ্যিকভাবে ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি হেকমত পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে খরচ হবে ৫ মিলিয়ন ডলার।
হেকমত ইঞ্জিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের প্রশ্নের উত্তর দেন- ড. শমসের আলী ও উদ্ভাবক শাহিদ হোসাইন।
মেজর (অব.) জামিল আহমেদ, কাজী আব্দুস সামাদ, মো. খোরশেদ আলম, মো. নাসের আলস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্ভাবিত হেকমত ইঞ্জিনের একটি ডেমো চালু করে দেখানো হয়।