রোটারি ক্লাব অব সিলেট ক্বীন ব্রিজের অভিষেক
দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক টিভি ব্যক্তিত্ব শফিক রেহমান বলেছেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক যুদ্ধে বিজয়ী না হলে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের সফলতা পাওয়া যাবে না। দেশের ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বৈষম্য কমিয়ে আনতে রোটারিয়ানদের কাজ করতে হবে।
রোটারি ক্লাব অব সিলেট ক্বীন ব্রিজের দ্বিতীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার রাতে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
শফিক রেহমান বলেন, সমাজে ভালবাসা যতো বৃদ্ধি পাবে, সহিংসতা ততো কমে আসবে। এজন্য একে অন্যের প্রতি ভালবাসা বাড়াতে হবে।
সিলেটের মানুষের মধ্যে বহুমুখীতা ও আন্তর্জাতিকতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেটের দুই কৃতিপুরুষ বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এম. সাইফুর রহমান আমার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন।
পশ্চিমা বিশ্বে ইন্ডিয়ান খাবারের বাজার সিলেটীরা ধরে রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটীদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। সিলেটকে বিশ্ব দরবারে আলাদা একটি সিটি হিসেবে তুলে ধরতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের রোটারিয়ানদের চেয়ে বাংলাদেশের রোটারিয়ানরা বেশি প্রশংসার দাবিদার। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিনিয়ত দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু এর মাঝেও রোটারিয়ানরা সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন- তা অবশ্যই অনুসরণীয়। পোলিও’র বিরুদ্ধে রোটারি আন্দোলন-সংগ্রামকে তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
রোটারির সাবেক ডিস্ট্রিক গভর্নর ডা. মঞ্জুরুল হক চৌধুরী বলেন, রোটারিয়ানরা শত কর্মের মাঝেও সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এসব কাজের অসংখ্য নজির রয়েছে।
সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে রোটারিয়ানদের আরও অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একেক জন রোটারিয়ান যেন সমাজের একেকজন আলোকবর্তিকা হতে পারেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
অপর বিশেষ অতিথিরা হলেন- রোটারির ডেপুটি গভর্নর ড. আর.কে ধর, এসিস্টেন্ট গভর্নর এডভোকেট বদরুল হোসেন।
দুই পর্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন- রোটারি ক্লাব অব সিলেট ক্বীন ব্রিজের সভাপতি রোটারিয়ান বদরুল আলম চৌধুরী ও চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান এমএ ওয়াদুদ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- রোটারিয়ান শহীদ আহমদ চৌধুরী, রোটারিয়ান সৈয়দ আশরাফ আহমদ, গল্পকার সেলিম আউয়াল, রোটারিয়ান শামসুল হক দিপু, খেয়া স্মারকের প্রধান সম্পাদক শাহীন আহমদ প্রমুখ।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অভিষেক উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান রোটারিয়ান রাজু আহমদ।
সেক্রেটারি রিপোর্ট পেশ করেন রোটারিয়ান আব্দুস সালাম। রোটারি প্রত্যয় পাঠ করেন রোটারিয়ান তাইব খান লামিম।
প্রধান অতিথির পরিচিতি পাঠ করেন রোটারিয়ান এডভোকেট রফিক আহমদ চৌধুরী। সেক্রেটারি ঘোষণা দেন রোটারিয়ান রফিকুল ইসলাম। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটারিয়ান আকবর আলী।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রোটারিয়ান মাওলানা মোহাম্মদ আলী।