স্ত্রী হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেলেন ব্রিটিশ মিলিয়নিয়ার
দক্ষিণ আফ্রিকায় হানিমুনে গিয়ে স্ত্রী হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেলেন ব্রিটিশ মিলিয়নিয়ার শ্রিয়েন দেওয়ান। অন্য অভিযুক্তরা দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডের শাস্তি পেলেও গতকাল সোমবার দেশটির আদালত শ্রিয়েনকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। তবে আদালত যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারায় রাষ্ট্রপক্ষকে ভর্ত্সনা করেন। শ্রিয়েনের স্ত্রী অ্যানির পরিবার এ ঘটনায় গভীর দু:খ প্রকাশ করেন এবং আদালত প্রাঙ্গণেই তারা কান্না শুরু করেন।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কেপটাউন আদালতের বিচারক জেনেট তেরেভার্সো শ্রিয়েনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করেন।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে অভিযুক্ত করার যে সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা প্রয়োজন তার ন্যূনতম প্রমাণ দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
তিনি রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলীকে ভর্ত্সনা করে বলেন, এর তথ্য প্রমাণ এত দুর্বল যে সত্য মিথ্যার শুরু এবং শেষটা কোথায় হয়েছে তা বোঝা যায় না। এছাড়া মূল সাক্ষীর সাক্ষ্যে যথেষ্ট স্ববিরোধিতা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আদালতে অভিযোগ করা হয়, শ্রিয়েন তার সুইডিশ স্ত্রীকে নিয়ে ২০১০ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় হানিমুনে যান। এরপর ১৪ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রী একটি ট্যাক্সিতে করে বেড়াতে বের হন। শ্রিয়েন ফিরলেও স্ত্রীর লাশ পড়ে থাকে ট্যাক্সিতে।
শ্রিয়েন আদালতে জানান, তাদের ট্যাক্সিটি হাইজ্যাক হয়েছিল। তবে ট্যাক্সি চালক এবং মূল সাক্ষী জোলা টঙ্গো আদালতে বলেন, শ্রিয়েন তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য ১৩ হাজার মার্কিন ডলারে দুইজন খুনি ভাড়া করেন। বাকি দুইজনের একজন ব্রেন ক্যান্সারে মারা গেছে। তবে শ্রিয়েনের আইনজীবী ফ্রান্সেস ভ্যান জিল তার মক্কেলের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অ্যানির পরিবার জানিয়েছে, শ্রিয়েন সমকামী ছিলেন। একথা অ্যানি জানতেন না। বিয়ের পর অ্যানি বিষয়টি বুঝতে পারেন।