প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন
প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গতকাল সোমবার এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ১৫০টির বেশি দেশের প্রায় ৮০০ প্রতিনিধি। বিভিন্ন দেশের হাতে থাকা ১৬ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সৃষ্ট ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরবেন তাঁরা। খবর এএফপির।
বর্তমানে এ দুটি দেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এদের মধ্যে পাকিস্তান ও ভারত ভিয়েনা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন যোগ দেয়নি। অবশ্য চীনা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সম্মেলনে উপস্থিত আছেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। এর বাইরে যারা সম্মেলনে যায়নি, তাদের মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল। উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে তিনটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। আর ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মনে করা হয়ে থাকে, যদিও দেশটি এখন পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি।
দুই দিনের ভিয়েনা সম্মেলনে পারমাণবিক বিস্ফোরণের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিণাম, পারমাণবিক পরীক্ষার প্রভাব এবং দুর্ঘটনাবশত পারমাণবিক বিস্ফোরণের ঝুঁকির বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।
আয়োজক দেশ অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান কার্জ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর ব্যবহারের প্রকৃত ঝুঁকি রয়েছে, তা স্বেচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক। এমন একটা পরিস্থিতিতে এই বিশ্বে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকেই। কাজেই এগুলো আর ব্যবহার করা হবে না। আমাদের সবার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা করতেই হবে।’