সিআইএ’র বন্দি নির্যাতন রিপোর্ট প্রকাশ

CIA৯/১১-পরবর্তী সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছিল। মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটে সিআইএর বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি নিয়ে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ইতোপূর্বে যে নির্মমতার খবর প্রকাশিত হয়েছিল, মার্কিন সংস্থাটি তার চেয়েও নির্মম ছিল। সংস্থাটি জিজ্ঞাসাবাদের সময় যৌন হামলার হুমকিও দিত।
এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সিআইএ’র কার্যক্রম ‘আমাদের মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এর ফলে অতীতের ভুল থেকে সরে আসার পথ পাওয়া যাবে।
নাইন ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে ২০০১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের চালু করা এক গোপন কার্যক্রমের আওতায় সিআইএ বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে সন্দেহভাজন আল-কায়েদা জঙ্গিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত।
পরে সিআইএ’র জিজ্ঞাসাবাদের কিছু গোপন ভিডিও প্রকাশিত হবার পর তা বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়। ওবামা এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
মঙ্গলবার ৪৮০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ৬,২০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট গোপনই রাখা হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, প্রকাশিত নথিতে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএর কঠোর জিজ্ঞাবাদে অনেক বাজে তথ্য পাওয়া যেত। এমনকি আল কায়েদার আফ্রিকান-আমেরিকানদের নিয়োগ নিয়ে অনেক ভুয়া কাহিনী বলা হতো। এতে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদ ছিল অকার্যকর এবং তাতে ‘আসন্ন সন্ত্রাসী হুমকি’ ব্যর্থ করার কোনো তথ্য পাওয়া যেত না।
এতে বলা হয়, সিআইএ তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারকদের বিভ্রান্ত করেছে। সিনেটের গোয়েন্দা কমিটি পাঁচ বছর তদন্ত চালিয়ে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button