করের চাপে নাগরিকত্ব ছাড়ছে মার্কিনীরা
মার্কিন সরকার তার নাগরিকদের ওপর করের বোঝা চাপানো অব্যাহত রাখায় নাগরিকত্ব ছাড়ছেন আমেরিকানরা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ছয় গুণ বেশি মার্কিন নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মার্কিন সরকার হচ্ছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ওইসিডি’র ৩৪ টি সদস্য দেশের মধ্যে একমাত্র সরকার যে প্রবাসী মার্কিনীদের ওপরও কর আরোপ করে যাচ্ছে।
আমেরিকার জাতীয় দেনার পরিমাণ আকাশ-ছোঁয়া হয়ে উঠেছে এবং মার্কিন সরকারের ব্যয়ও ব্যাপক হারে কমানো হচ্ছে। এ অবস্থায় মার্কিন কর বিভাগ প্রবাসী মার্কিনীদের আয়ের ওপর কর বসানোর কঠোর নীতি প্রয়োগ করায় আরো বেশি সংখ্যক প্রবাসী আমেরিকানরা নাগরিকত্ব ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ১৩১ জন প্রবাসী আমেরিকান মার্কিন দূতাবাসগুলোতে তাদের পাসপোর্ট জমা দিয়ে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন। অথচ এক বছর আগেও এই সময়ে মাত্র ১৮৯ জন প্রবাসী আমেরিকান ওই একই আবেদন জানিয়েছিল।
মার্কিন ফেডারেল রেজিস্ট্রি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের এক হাজার ৮১০ জন প্রবাসী আমেরিকান তাদের মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ ২০০৮ সালের পুরো বছরটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২৩৫টি। ২০১২ সালে প্রবাসী মার্কিন নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৫০ থেকে ৬০ লাখ।
মার্কিন সরকারের কর বিভাগের নতুন আইন অনুযায়ী বিদেশী ব্যাংকগুলো প্রবাসী মার্কিনীদের একাউন্টের ব্যাপারে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রেভিনিউ সার্ভিসকে অবহিত করতে বাধ্য। এ নতুন আইনের আলোকে মার্কিন সরকার আগামী দশ বছরে বাজেটের জন্য ৮০৭ কোটি ডলার বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে।