ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে সাড়ে ৩ হাজার প্রাণহানি
চলতি বছর ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে ভূমধ্যসাগরে তিন হাজার ৪শ’র বেশি লোকের প্রাণহানি হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বুধবার এ তথ্য জানিয়ে জীবন বাঁচাতে আরো পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে।
ইউএনএইচইসিআর বলেছে, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭ হাজারেরও বেশি লোক ঝুঁকিপূর্ণ এ সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে যা ২০১১ সালের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। ২০১১ সালে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে ৭০ হাজার লোক সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলো।
চলতি বছর সারা বিশ্বে ৪ হাজার ২শ’ ৭২ জন অভিবাসীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪১৯ জনের ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর ভালো চাকরির আশায় অথবা আশ্রয় চেয়ে লিবিয়া থেকে বহু সংখ্যক অভিবাসী ইতালি ও মাল্টা যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এছাড়া ৬০ হাজার ৫১ জন সিরিয়ার নাগরিক ও ৩৪ হাজার ৫৬১ জন ইরিত্রিয়ার নাগরিক সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার অ্যান্টোনিও গুটেরেসের উদ্যোগে আয়োজিত জেনেভায় দুই দিনব্যাপী বৈঠকের শুরুতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। নির্যাতন, যুদ্ধ, অস্থিতিশীলতা ও দারিদ্র্যতা থেকে বাঁচতে সমুদ্র পাড়ি দেয়া লোকজনের কিভাবে সুরা দেয়া যায় তার উপায় খুঁজে বের করতে এ বৈঠক হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের সরকার, জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর (এনজিও) প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। বৈঠকের আগে গুটেরেস বলেন, বিভিন্ন দেশ মানুষের জীবন রার চেয়ে তাদের নিজেদের সীমান্তের সুরায় বেশি ব্যস্ত থাকে। তিনি কোন দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, এটা ভুল। কারণ বহুসংখ্যক লোক যুদ্ধের জন্য পালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, যেকোন দেশের জন্য নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনা উদ্বেগের বিষয়। তবে সমগোত্রীয় ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাতে মানুষের জীবন শেষ না হয়ে যায় সে ল্েয নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
ইউরোপের দক্ষিণ, পূর্ব ও দণি-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সীমান্ত থাকা লিবিয়া, ইউক্রেন, সিরিয়া ও ইরাকে সংঘর্ষের কারণে বিপুলসংখ্যক লোক ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
অভিবাসীদের অনেকে প্রথমে ইতালির বন্দরে যাচ্ছে। চলতি বছর ইতালি জীর্ণশীর্ণ বিভিন্ন নৌকা থেকে দেড় লাখেরও বেশি লোককে উদ্ধার করেছে।