আল কুরআন : অভিযোগ ও জবাব

ডা: শাহ মুহাম্মদ হেমায়েত উল্লাহ
সুপরিকল্পিতভাবে কুরআন তথা ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সত্যকে বাদ দিয়ে ডাহা মিথ্যা ব্যাখ্যা করে প্রচার করা হচ্ছে। নিচে ‘মরিস বুকাইলি’র বই থেকে ‘এনসাইকোপিডিয়া ইউনিভার্সালি’র ষষ্ঠ খণ্ডের এমন একটি রচনার উদাহরণ তুলে ধরা হলো। ‘গসপেল’ বা সুসমাচার শীর্ষক অধ্যায়ে লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনের সাথে সুসমাচারের (ইঞ্জিল ১-৪ খণ্ডের) পার্থক্য তুলে ধরেছেন এভাবেÑ ‘সুসমাচারের লেখকবৃন্দ… কস্মিনকালেও… কুরআনের মতো এই দাবি করে নাই যে, স্রষ্টা স্বয়ং অলৌকিক উপায়ে পয়গম্বরের নিকট একখানা আত্মজীবনী অবতীর্ণ করেছেন।’
প্রকৃতপে কুরআন কিন্তু আদৌ কোনো আত্মজীবনীমূলক কোনো রচনা নয়, বরং কুরআন হলো মহান স্রষ্টার ওহি। লেখক যদি একটু কষ্ট করে কুরআনের যেকোনো একটি অনুবাদও দেখে নিতেন তাহলে তিনি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারতেন কুরআন সম্পর্কে তার ধারণা কতটা ভ্রান্তিপূর্ণ। পশ্চিমা প্রচারমাধ্যম আরো একটা উপায় অবলম্বন করেছে। এ ব্যাপারে মরিস বুকাইলি বলেন, ‘প্রথম ইসলামে আমার আদৌ কোনো বিশ্বাস ছিল না। লোকে মুসলিম বলত না, বলত মুহামেডান, অর্থাৎ বুঝানো হতো এ ধর্ম একজন মানুষ (মুহামেড) দ্বারা প্রবর্তিত হওয়ার কারণে গডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেইÑ এ মিথ্যা ধারণা পাশ্চাত্যে ব্যাপকভাবে প্রচারিত।’ তা ছাড়া তারা আল্লাহকে মুসলমানদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এমনভাবে প্রচার করেÑ ভাবখানা এই যে, মুসলমানেরা যে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রাখেন, তিনি খ্রিষ্টানদের সৃষ্টিকর্তা থেকে আলাদা। অথচ মুসলমানেরা আল্লাহ শব্দের দ্বারা হজরত মূসা আ:, হজরত ঈসা আ: অর্থাৎ সব সৃষ্টিকুলের স্রষ্টাকেই বোঝায়। আল্লাহ একক ও অদ্বিতীয়। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বে বিভিন্ন ভাষায় ইসলাম সম্পর্কে বিকৃত ইতিহাস, বিকৃত মতামত প্রচার করা হচ্ছে। যার কারণে ওই দেশে বসবাসরত লোকেদের ইসলামের পথে অগ্রসর হওয়া ও ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করা সহজ নয়। বরং ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবেরই উদয় হয়। সেখানে ইসলামকে নৈতিকতাহীন, গোঁড়ামি, সন্ত্রাসী ও ভীতির ধর্ম বলে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রতি ল করলে সহজেই অনুমান করা যায়, এ অভিযোগ কতটা সত্য আর কারা এ গুণের অধিকারী।
অভিযোগের জবাব : পবিত্র কুরআন স্বয়ং মহান স্রষ্টার বাণী বা ওহি। জিবরাইল আ:-এর মাধ্যমে নাজিল হয়েছে প্রায় ১৫০০ বছর আগে, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ওপর। কুরআন নাজিলের সময় থেকে আজ পর্যন্ত কুরআনের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ চলে আসছে। এই অভিযোগগুলো হয়তোবা একই কথা কিংবা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিছুটা নতুন ধরনের।
যেহেতু কুরআন মহান স্রষ্টারই বাণী, যিনি সর্বজান্তা। তিনি ভালো করেই জানেন ভবিষ্যতে কী কী অভিযোগ আসবে। তা ছাড়া কুরআন হচ্ছে সর্বশেষ ওহিগ্রন্থ। এরপর স্রষ্টার কাছ থেকে আর কোনো ওহি আসবে না। কাজেই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সব কালের সব অভিযোগেরই উত্তরও দিয়েছেন মহান স্রষ্টা এই মহাগ্রন্থে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রশ্ন আসেনি, যার উত্তর এই মহাগ্রন্থে পাওয়া যায়নি। অনেক সময় উত্তর খুঁজে না পাওয়ার কারণ, আমাদের অজ্ঞতা, অমতা বা জানার জন্য তথ্য ও আবিষ্কারের অপো। ডা: মরিস বুকাইল ঘোষণা করেন, ‘কুরআনে এমন একটি বর্ণনাও নেই, যা আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিচারে খণ্ডন করা যেতে পারে।’ কুরআন নাজিলের সময়কার অভিযোগের উত্তরের জন্য এমন সব সহজ-সরল আয়াত নাজিল হয়েছে, যা সে সময়কার মানুষ অতি সহজে বুঝতে পেরেছে। এ জন্য কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আদৌ প্রয়োজন হয়নি।
অন্য দিকে বর্তমানে অভিযোগের উত্তরের জন্য কুরআনে রয়েছে এমন সব আয়াত, যা বিজ্ঞানের আবিষ্কার ও কম্পিউটারের ব্যাখ্যার ফলেই বুঝতে সহজ হয়েছে। কুরআন কিভাবে এসব অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ যুগের অভিযোগের উত্তর দিয়েছে, তাই হচ্ছে আলোচ্য বিষয়।
কুরআনের বিরুদ্ধে অভিযোগের উত্তর সরাসরি দেয়ার আগে কুরআন তথা এর প্রতিটি আয়াতই যে সত্য এর প্রমাণ পেশ করব প্রথমে। কারণ বিজ্ঞানের মতে, কোনো কিছু পরীা করার আগে যে যন্ত্র দিয়ে পরীা করা হবে তারই প্রথমে পরীা করে নিতে হয় ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা সঠিক কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য। যন্ত্রই যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তবে ফলাফল সঠিক হওয়া অসম্ভব। কাজেই কুরআন যদি সত্য প্রমাণ করতে পারি, তবে আপনি এর প্রতিটি কথাই সত্য বলে মেনে নিতে বাধ্য। অতএব চলুন, প্রথমে কুরআনের সত্যতার আলোচনায় যাই। তাই বলে আপনি কখনো মনে করবেন না যেন, আমি কুরআনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরীাগারে পরীা করতে বসেছি এবং পরীায় প্রমাণিত হলেই বিশ্বাস করব (নাউজুবিল্লাহ) না, এমন বুকের পাটা আমার নেই। আমি শুধু বলতে চাই, কুরআনের প্রতিটি আয়াতই এর সত্যতার দলিল। কারণ এর এক আয়াত আরেক আয়াতের ব্যাখ্যা। এক আয়াতে প্রশ্ন আরেক আয়াত এর উত্তর। এত উচ্চাঙ্গের ভাষা ও সাহিত্যিক মান, বর্ণনাভঙ্গি ও উপস্থাপনা, অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের ঘটনাবলির বিবরণ, বৈজ্ঞানিক তথ্য, যুগোপযোগী বিষয়ের বর্ণনা এমন নিখুঁতভাবে মহান স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ দিতে একেবারেই অম। আবার তিনি ছাড়া অন্য কারো পইে কিয়ামত (সব সৃষ্টির ধ্বংস) হওয়া পর্যন্ত তা (কুরআন) হুবহু রা করাও অসম্ভব। তাই এ দায়িত্ব নিজের কাছেই রেখেছেন তিনি।
‘আমিই কুরআন নাজিল করিয়াছি এবং অবশ্যই আমি উহার হেফাজতকারী (সংরক)’ (সূরা হিজর : ৯)।
‘কোনো মিথ্যা উহাতে প্রবেশ করিবে না সম্মুখ হইতে কিংবা পশ্চাৎ হইতে। উহা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসাময় আল্লাহর নিকট হইতে অবতীর্ণ’ (সূরা হামীম-আস-সাজদা : ৪২)।
‘তবে তাহারা কি সতর্কতার সহিত কুরআনকে অনুধাবন করে না? আর যদি উহা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উৎস হইতে অবতীর্ণ হইত, তবে অবশ্যই উহাতে বহু অসামঞ্জস্য এবং অসঙ্গতি থাকিত’ (সূরা নিসা : ৮২)।
মহান স্রষ্টার উপরিউক্ত বক্তব্যই কুরআনের সত্যতার দলিল হিসেবে যথেষ্ট। কিন্তু যাদের মনে বক্রতা আছে বা যাদের মনে এখনো কোনো কোনো প্রশ্নের উদয় হয়, তাদের জন্য রয়েছে অনেক দলিল ও প্রমাণ।
কুরআনের সঠিকতা ও সত্যতার দলিল
নিম্নের বিষয়গুলোই কুরআনের সত্যতা বা সঠিকতা নিরূপণের জন্য যথেষ্ট।
ক. কুরআনকে সত্য বলে বিশ্বাস করা বা মেনে নেয়া।
খ. কুরআনের সংরণ ব্যবস্থা।
গ. কুরআনে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও সর্বকালের ঘটনাবলির বর্ণনা।
ঘ. বৈজ্ঞানিক প্রমাণ।
কুরআনকে সত্য বলে বিশ্বাস করা : কুরআনকে সত্য বলে বিশ্বাস করলে এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আর কোনো দলিলের প্রয়োজন নেই। বিশ্বাস হচ্ছে সত্যতা নিরূপণের সবচেয়ে উত্তম পন্থা। কিন্তু বিশ্বাস করার যুক্তি কী? যুক্তিবাদী মন হয়তো রুখে দাঁড়াবেÑ মানতে চাইবে না, এ কেমন অযৌক্তিক দাবি? যা দেখব না তা বিশ্বাস করব কেন? এ দাবি অযৌক্তিক ও অন্যায়! যারা যুক্তি ও চাুষ দেখার এতটা ভক্ত তারা কি প্রমাণ ছাড়া দুনিয়ায় কিছুই বিশ্বাস করেন না? না দেখে আমরা কি দুঃখ, ব্যথা-বেদনা, স্নেহ মায়া-মমতা, প্রেম-ভালোবাসা, বাতাস, গরম-ঠাণ্ডা বিশ্বাস করি না?
ড. ম্যারিট স্ট্যানলে কংডন তার একটি প্রবন্ধে লিখেছেনÑ
‘আমি অনেকের কাছেই চিন্তার যথার্থ রাসায়নিক ফর্মুলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। এর দৈর্ঘ্য কত সেন্টিমিটার, এর ওজন কত গ্রাম, এর রঙ দেখতে কেমন, কী তার গঠন ও আকার; একি চাপÑ নাকি অভ্যন্তরীণ টান, কী তার কর্মত্রে, কোথায় তার অবস্থান, কী তার শক্তি, কী তার দ্রুতি?’ এর উত্তর জানা না থাকলেও চিন্তা বা ভাবনার অস্তিত্ব কি আমরা অস্বীকার করতে পারি?
না দেখে তো কত বৈজ্ঞানিক মতবাদ আমরা সবাই বিশ্বাস করি। পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা ও জ্যোতির্বিদ্যার অসংখ্য মতবাদ বৈজ্ঞানিকেরা পর্যন্ত না দেখে বা প্রমাণ ছাড়াই বিশ্বাস করেন? এ ছাড়া কোনো উপায়েই কোনো দিনই আমরা দেখতে পারব না বিদ্যুৎ, এক্স-রে, গামা-রে, লেসার-রেসহ আরো অনেক কিছু? এসব আমাদের চোখের ধারণমতার বাইরে। অথচ আমরা কি দাবি করতে পারি এসবের সুফল ভোগ করা থেকে আমরা বঞ্চিত? প্রতিদিনই কত এক্স-রে করা হচ্ছে রোগ নির্ণয়ের জন্য। আর লেসার-রে দিয়ে কত অপারেশন করা হচ্ছে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চেহারা কেমন বা কী তার রঙ তা কি দেখতে পাওয়া যায়? যে বিগ ব্যাংগ বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে বলে বর্তমান বিজ্ঞানীদের দৃঢ়বিশ্বাস, তা কি কেউ দেখতে পেয়েছে কোনো দিন? গাছ কিভাবে পাতার কোরোফিল, সূর্যের আলো, বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে শিকড়ের সাহায্যে শোষিত উপাদান সম্মিলিত করে খাদ্য তৈরি করে? তার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনি। অথচ উদ্ভিদের তৈরী খাদ্য খেয়ে সমগ্র মানবজাতি বেঁচে আছে।
এতণ বেশ কিছু বর্ণনা দিয়েছি, যা মানুষ দেখতে পায় না। অথচ ওই সব সম্পর্কে হাজারো প্রশ্ন করা যেতে পারে। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর জানা কি সম্ভব? আসলে মানুষ একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত জ্ঞানী হতে পারে, তারপর সে একেবারে অজ্ঞ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে কোনো দিন লেখাপড়া করেনি বা গণনাও করতে পারে না, সে একেবারেই অজ্ঞ। কিন্তু যে শুধু ১০০ পর্যন্ত গণনা করতে পারে এরপর আর কিছুই গণনা করতে বা পড়তে পারে না, এমন দু’জনের মধ্যে একজন একেবারেই অজ্ঞ আর একজন ১০০ গণনা করার পর অজ্ঞ। কাজেই ১০০ গণনা করার মতার পর দু’জনেই সমান। তেমনি পৃথিবীতে যে সবচেয়ে জ্ঞানী তার জ্ঞানের পরিসীমার পর একজন অশিতি এবং সে এক সমান। মহাবিশ্বের অদৃশ্য জগতের আলোচনায় জানতে পারবেন, মহাবিশ্বে যে আলো আছে তার শতকরা এক ভাগেরও কম আলো আমাদের চোখের দৃষ্টিতে অনুভূতি জাগাতে সম। বাকি নিরানব্বই ভাগের বেশি আলোই দেখা সম্ভব নয়, মানে অদৃশ্য।
এ তো গেল আলোর কথা। অত্যন্ত আশ্চর্যের কথা হচ্ছে, সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাবিশ্বের মাত্র শতকরা ১০ ভাগ বস্তু দেখা সম্ভব। বাকি ৯০ ভাগই রয়ে গেছে দৃষ্টির বাইরে। আবার দৃশ্যমান ১০ ভাগ বস্তুজগতের গ্যালাক্সির সংখ্যা ১০০ কোটি। টেলিস্কোপের সাহায্যে যা দেখা যায় তার বেশির ভাগই খালি চোখে দেখা যায় না। সেগুলো চিরদিন মানুষের দৃষ্টির বাইরে থেকে যাবে। কাজেই আমরা তেমন কিছুই দেখার মতা রাখি না বরং বেশির ভাগই বিশ্বাস করে থাকি।
এমন হাজারো বিষয় না দেখে দৃঢ়বিশ্বাস করে আসছেন বিজ্ঞানীরা এবং সুধী সমাজ। অথচ অদৃশ্যের দোহাই দিয়ে বিশ্বপ্রভু মহান স্রষ্টাকে অস্বীকার করছে অনেকে।
জন্মের মাধ্যমে আপনার পৃথিবীতে আগমন আর মৃত্যুর মাধ্যমে আপনাকে বিদায় নিতে হবে পৃথিবী থেকেÑ এসবই কি আপনি দেখে বিশ্বাস করেন? আমি যদি বলি, জন্ম ছাড়া আমি পৃথিবীতে এসেছি এবং আমার মৃত্যুও হবে না কোনো দিন, তা কি আপনি আমাকে বিশ্বাস ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বুঝাতে বা দেখাতে পারবেন? অথচ এ দুটো ঘটনা আমরা যারা জন্মগ্রহণ করেছি তাদের জন্য প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য নয় কি? তাই আমরা দেখিনি বা দেখতে পাই না বলে সব কিছু সত্য নয়, এটা কি কোনো যুক্তির কথা? অনেক দেশে আমরা যাইনি অথচ সে দেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা বিশ্বাস করি, না দেখে। কাজেই বিশ্বাসই হচ্ছে আমাদের জীবনের অস্তিত্ব। আর অস্তিত্ব থেকে পরলোকে গমন। আমরা যে মরব তার একমাত্র প্রমাণ হচ্ছে আমাদের জন্ম।
‘জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিবে’ (সূরা আলে ইমরান : ১৮৫)। সুতরাং কুরআনে বিশ্বাসের আহ্বান কি অবৈজ্ঞানিক? অযৌক্তিক?
লেখক : সাবেক মেডিক্যাল সুপারভাইজার, জেদ্দা মিউনিসিপ্যালিটি, সৌদি আরব

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button