১৪ বছর বয়সী এহসানুল হকের ‘দেয়ার ইজ অলওয়েজ হোপ’
ইংরেজী সাহিত্য চর্চায় ব্রিটিশ বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মকে আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস পলা মঞ্জিলা উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার হাউজ অফ লর্ডসের কমিটি রুমে লুটনের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কিশোর এহসানুল হকের লেখা বই ‘দেয়ার ইজ অলওয়েজ হোপ’ এর প্রকাশনা উৎসবে তিনি এই কথা বলেন।
আইজ্যাক নামের এক ব্যক্তির হাইস্কুলের বিভিন্ন সমস্যা, ভুলের মধ্যে বসবাস এবং সবশেষে আলোর দেখা পাওয়া নিয়েই তার এই বই। লুটনের ডেনভি হাইস্কুলের কৃতি ছাত্র এহসানুল হকের বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে স্কুলের শিক্ষকসহ ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন হাউজ অফ লর্ডসের এই অনুষ্ঠানে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই ধরনের একটি বই লেখতে পারায় উপস্থিত সকলে এহসানুল হকের প্রশংসা করেন। কিশোর বয়সী ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদানে কোন কোন দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত তার জন্য শিক্ষকদের অবশ্যই এই বই পাঠ করা উচিত বলে তারা মত ব্যক্ত করেন। ব্যারোনেস পলা উদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশী এই তরুণের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আরো অনেককে এই পথে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, এই কিশোরের জীবন দেখার চোখ অন্য যে কারো থেকে ভিন্ন।
লেখক এহসানুল হক বলেন, নিজের চারপাশের বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ করেই তিনি এই বই লেখায় উৎসাহিত হয়েছেন। তার মতে, একটা কিছু করে দেখানো ইচ্ছা তার ছোট বেলা থেকেই রয়েছে। সে চায় সকলের জন্য একটি রোল মডেল হতে। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত এহসানের বাবা, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের ইষ্ট ইংল্যান্ড রিজিয়ন-১ এর প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি এমদাদুল হক ও সমাজসেবী মা টিনা হক ভবিষ্যতে তাদের ছেলের কর্মকান্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও গর্বিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ড. হাসনাত হোসেন এমবিই, লুটন বারা কাউন্সিলের কাউন্সিলার তাহির আলী, ডানবি হাই স্কুলের এসিস্টেন্ট হেড টিচার ইয়ান ডগলাস, লেখিকা রেনু লুৎফা, লুটেনের জিপি ডা: রুহুল আমিন, প্রাইড অফ এশিয়ার পরিচালক ওয়াজিদ হোসেন সেলিম ও শিক্ষাবিদ ডা: কে এম এ মালেক।