‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেন ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সে দেশের সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার চাপ প্রয়োগ করার পরও কর্ণপাত না করায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও বস্তি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেছেন।
ড্যান মজিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে মিয়ানমারে দু’দফা সফর করেছেন। জাতিসংঘের সেমিনারে বক্তব্যও রেখেছেন। কিন্তু মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট এতে কর্ণপাত করেনি। যার কারণে মিয়ানমারের উপর আর্ন্তজাতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রেখে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় নিয়ে দেশটির সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে দুপুরে বৈঠককালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে চলার আহবান জানান।
ওই সময় রোহিঙ্গা নেতারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত না করে তৃতীয় কোন দেশে পুর্নবাসনের অনুরোধ জানালে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক জান্তার চরম নির্যাতন, অত্যাচার, নিপীড়নের কথা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে রোহিঙ্গারা জানালে সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কুতুপালং ক্যাম্পের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কর্মকর্তা মি. জুয়ে, মিস মিনু আপন, নাজমুল হক, ইউএনএইচসিআরের ডেপুটি ডিরেক্টর মসি মু মু, ইয়ানিনা, ইউএসএ আইডি কর্মকর্তা ইয়া নিনা, মিস লিন্ডা, মিস টরি, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন সহকারী কমিশনার এসএম ফজলুল করিম চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান, ওসি (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
আগামী শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উখিয়ার উপকূলীয় ইনানী জাতীয় উদ্যান ও উপকূলীয় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।