ব্রিটেন থেকে ৩,২০০ জনকে ডিপোর্টেড করা হয়েছে
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: ৩ হাজারেরও বেশী ক্রিমিন্যাল রেকর্ডের অধিকারী ইমিগ্র্যান্টদের ব্রিটেন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যাদের অধিকাংশই লন্ডনে এসে হত্যা, ধর্ষণ সহ নানা ক্রাইমসের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন, অধিকাংশ ছিলেন ইমিগ্র্যান্ট। হোম অফিস এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এই ৩,২০০ এর মধ্যে ১৮৮ জন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মারাত্মক অপরাধে জড়িত বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। হোম অফিস এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ ক্রাকডাউন এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় লন্ডনে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার এবং সাজা ভোগের পরে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই উভয়ের সমন্বয়ে যৌথ ক্রাক ডাউন প্রকল্প এখন সারা দেশে কাজ করছে সিরিয়াস ক্রাইমের সাথে যারা জড়িয়ে পড়েছেন এবং আদালতের সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পরে সাজা খেটেছেন, তাদের ধরে ধরে নিজ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
এই ফিগার প্রকাশের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ৩,২০০ জনের মধ্যে ৩,১০০ জনই মারাত্মক অপরাধী এবং ১৮৮ জন সিরিয়াস ক্রিমিনাল- যাদের সকলের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষন, ডাকাতি, অস্র ব্যবহার, ড্রাগস ইত্যাদি অপরাধের সাজা প্রাপ্ত অপরাধী- যাদের কেবলমাত্র লন্ডন সিটি থেকেই এরেস্ট করে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যাদের আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ব্রিটেনে পুনরায় ফিরে আসার জন্য সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হোম অফিস ইমিগ্র্যাশন অফিসার এই প্রকল্পের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন অপরাধীদের ট্র্যাকিং সিস্টেমের মধ্যে রাখা হয়েছে, সন্দেহভাজন অপরাধীদের খুঁজে খুঁজে গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে, আদালতের সেন্টেন্স প্রাপ্তদের সাজা কাটার পর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। লাটভিয়ার একজন ইমিগ্র্যান্ট আর্নিস জাল খান- যে একজন ১৪ বছরের স্কুল গার্লকে হত্যা করেছিলো, তাকে পেতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিলো। পুলিশ তার সম্পর্কে কোন তথ্যই পাচ্ছিলোনা।
বর্তমানে ইউকে পুলিশের সাথে রুমানিয়া ও পোল্যান্ড পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে নিজ নিজ দেশের অপরাধীদের সনাক্ত করে ইউকে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য। ধীরে ধীরে এই প্রকল্পের আওতা কমনওয়েলথ দেশ সমূহের পুলিশেরও সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা হবে, যাতে একটাই ম্যাসেজ হোম অফিস দিতে চায়- ব্রিটেন কোন অপরাধীদের আশ্রয় হবেনা।
গত সপ্তাহে পোলিশ গ্যাং চক্র ৫৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পল কোহলার ও তার স্ত্রীকে আক্রমণ করার পর পুলিশ জরুরী ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই ঘন্টার মধ্যে লন্ডন সিটি থেকে ১০০ জনকে এরেস্ট করে, যাদের মধ্যে অবৈধ ইমিগ্র্যান্টও রয়েছে। হোম অফিসের তথ্য মতে ৫০ পার্সেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সব অপরাধীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।