শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন

Buddi১৪ ডিসেম্বর রোববার সেই বেদনাঘন দিন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ঊনিশশ’ একাত্তর সালের এ দিনটি ছিল মঙ্গলবার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম ঘটনাটি ঘটে শীতার্ত এই দিনে। আমাদের জাতীয় জীবনের আরেক শোকাবহ দিন এটি। বিজয়ের চূড়ান্ত ক্ষণে বাংলাদেশ তার বিশিষ্ট ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারায়। এ দিন রেডিও শুনতে শুনতে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী তার স্ত্রী লিলি চৌধুরীকে ডেকে গভীর প্রত্যয়ে বলেছিলেন, ‘আর মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা বাকি আছে দেশ স্বাধীন হতে।’ কিন্তু ঘাতকরা তাকে স্বাধীনতার লাল সূর্য দেখতে দেয়নি। শুধু মুনীর চৌধুরীকেই নয়, বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করে যেনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য শত্রুরা নিখুঁত পরিকল্পনায় বেছে বেছে হত্যা করে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রবর্তী ব্যক্তিদের। ধীমান, অনন্য মনীষা সেসব ব্যক্তিত্বের প্রতি জাতির সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাদের স্মরণে প্রতি বছরই যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
সেইসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তিদের স্মৃতি স্মরণে রাজধানীর মিরপুরে নির্মিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধে শ্বেতপাথরে খোদিত রয়েছে তাদেরই অমরত্বের কথা- ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,/ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান,/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ কবিতার মতো করেই শহীদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। তবে তাদের হারানোর বেদনায় স্বজনসহ দেশবাসী আজো কাতর। তাদের প্রতি বিনস্র শ্রদ্ধা ও ফুলেল ভালোবাসা জানাতে আজ ভোর থকেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামবে সেদিনের সেই নারকীয়  হত্যাকান্ডের স্মৃতিবিজড়িত রায়ের বাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভে। এ উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ইতিহাস বলে, একাত্তর সালে টানা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে যখন শত্রুদের হাত থেকে জাতি পরম মুক্তির প্রহর গুণছিল, ঠিক তখনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ঘাতকচক্রের হাতে প্রাণ হারান বাংলাদেশের মেধা ও মননের ধারক, প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদগণ। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয়ের পূর্ব মুহূর্তে দেশকে মেধা, শিক্ষা, সংস্কৃতিশূন্য করার হীনমানসিকতা থেকেই তেতাল্লিশ বছর আগে এমনি একদিনের নীলনকশা অনুযায়ী ঠা-া মাথায় মানব সভ্যতার অন্যতম বর্বর ও কাপুরুষোচিত এই হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়। গোটা জাতির আবেগঘন শ্রদ্ধা ও ফুলেল ভালোবাসায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে।
গা শিউরে ওঠা সেই দিনে অকল্পনীয় নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব (জিসি দেব), অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আ ন ম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাপ্তাহিক শিলালিপি পত্রিকার সম্পাদিকা বেগম সেলিনা পারভীন, ডা. আবুল খায়ের, ডা. রাশিদুল হাসান, ডা. ফজলে রাববী, ড. আবুল কালাম আজাদ, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. ফজলুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ সাদেক, ড. ফয়জুল মুতী, আব্দুল মুক্তাদীর, সন্তোষ ভট্টাচার্য, আবুল বাশার চৌধুরী, সাহিত্যিক-সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বুদ্ধিজীবীগণকে। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ঢাকার রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে অনেকের গলিত লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। বাকিরা রয়ে যায় নিখোঁজ, অজ্ঞাত।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী। স্বাধীনতা লাভের পর দীর্ঘ ৪৩ বছরেও বুদ্ধিজীবী হত্যার কোন কিনারা আজো হয়নি। বুদ্ধিজীবীদের কে কোথায় কিভাবে শহীদ হয়েছেন তারও কোন কিনারা হয়নি। তাদের পরিবারবর্গও জানতে পারেনি প্রিয় এই মানুষগুলোর লাশ কোথায়? এ নিয়ে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যা রহস্য উন্মোচন এবং দোষীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি।
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কবি আসাদ চৌধুরী তার ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “১৪ ডিসেম্বর গবর্নর হাউজে গবর্নর ডা. মালিক, চরমপত্রের ভাষায় ‘ঠোটা মালিক্যা’, মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকের ব্যাপারে রাও ফরমান আলী এবং চীফ সেক্রেটারি মুজাফফর হোসেনের সায় ছিলো। মন্ত্রীসভার বৈঠক বসছে এগারোটায়, ভারতীয় মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি ওয়্যারলেসে সংবাদ ধরে ঠিক এগারোটায় যে রুমে বৈঠক বসেছিল সেখানে উপর্যুপরি রকেট বর্ষণ করে। বিমান হামলা বন্ধ হতে না হতেই চীফ সেক্রেটারি, পুলিশের আইজি এবং অন্যান্য কর্মকর্তা পালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মালিক সাহেব পদত্যাগ করে ঢাকায় আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রতিনিধি মিস্টার রেনড-এর কাছে আশ্রয় চাইলেন। ঐ দিনই মালিক দলবল নিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টালের (অধুনা বন্ধ পাঁচতারা হোটেল রূপসী বাংলা) নিরাপদ আশ্রয়ে হাজির হলেন। ডা. মালিকের এই সিদ্ধান্তে নিয়াজীর মনোবল আরো ভেঙ্গে যায়। নিয়াজী তখনও মার্কিন সপ্তম নৌবহরের প্রত্যাশায় বলছেন, ‘একেবারে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবো।’ ঢাকার বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে এবং হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য তখনও বেতারে (ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা) মানেকশ’র ভাষণ বার বার প্রচারিত হচ্ছে। নিয়াজী শর্তসাপেক্ষে আত্মসমর্থনের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্ণা দিচ্ছেন।’’
এ দিন কাদেরিয়া বাহিনীসহ (যারস্ত্রধান ছিলেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম) ভারতীয় ১০১ কম্যুনিকেশনের একটি অংশ গাজীপুর জেলার শফিপুরের মৌচাকে পরাজিত করে পাকিস্তানী বাহিনীকে। যৌথ বাহিনীর জন্য দলটি সেদিন সাভার নবীনগরের বিকল্প পথ ধরে ঢাকার দিকে অগ্রসর হয়েছিল। নবীনগরে ঢাকা-যশোর সংযোগস্থলে আসার পর যৌথ বাহিনী হানাদার বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল। যৌথ বাহিনীর একটি অংশ ১৫ ডিসেম্বর মিরপুর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৪ ডিসেম্বর লে. জেনারেল একে নিয়াজীকে আত্মসমর্পণ করার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। এরপর নিয়াজী ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন কনসাল জেনারেলের সাথে দেখা করে শুধু বার্তাটুকুই পৌঁছাতে পেরেছিলেন। বার্তায় আত্মসমর্পণের আয়োজনের কথা উল্লেখ ছিল। ঊনিশশ’ একাত্তর সালের ডিসেম্বরের চতুর্দশ দিবস হানাদারমুক্ত হয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোরের কেশবপুর, চট্টগ্রামের দোহাজারীসহ অনেক এলাকা।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি জাতির পক্ষে প্রত্যুষে মিরপুরস্থ স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত থাকবেন। বিএনপি প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়ের বাজার বধ্যভূমি ধোয়ামোছা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সকল প্রস্তুতি পূর্বাহ্নেই সম্পন্ন করা হয়েছে। জাতীয় দৈনিকসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গমন করবেন। এ জন্য ওই এলাকায় সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণকল্পে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সকল প্রকার সার্ভিস ট্রান্সর্পোর্ট, (বাস/ট্রাক/হিউম্যান হলার/থ্রি হুইলার ইত্যাদি), রিকশা-ভ্যান মিরপুর মাজার রোড ক্রসিং থেকে মিরপুর ১নং ক্রসিং পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময়ে বিকল্প রুট ব্যবহার করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার দিক থেকে বেড়িবাঁধ দিয়ে মিরপুর অভিমুখী যানবাহন সমূহকে নবাবেরবাগ ক্রসিং থেকে বামে মোড় নিয়ে শাহআলী থানা রোড এবং মাযার রোড ক্রসিং দিয়ে শাহআলী মাযার সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমেচ্ছু যানবাহন টেকনিক্যাল মোড় হয়ে দারুস সালাম রোড ব্যবহার করতে পারবে। আর যেসকল যানবাহন মিরপুর-১০ থেকে গাবতলীর দিকে যাবে, সে সকল যানবাহন মিরপুর-১ দারুসসালাম রোড থেকে টেকনিক্যাল মোড় হয়ে যেতে পারবে।
কর্মসূচি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি কর্মসূচি নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ : ক্ষমতাসীন এ দলটি সূর্যোদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সকল কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ নিবেদন, ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন এবং ৯টা ১০ মিনিটে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের কর্মসূচি নিয়েছে। এছাড়া বিকেল ৩টায় নগরীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি : জেলা, উপজেলা, থানা ও সব মহানগরীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় পার্টির কর্মসূচি: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সকাল ৮টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের গেটের সামনে (মাজার রোডে) দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন : সকাল ১০টায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে কুরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। মিলাদ ও মুনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : সকাল সাড়ে ৬টায় ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হল প্রাঙ্গনস্থ স্মৃতিসৌধ ও বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা, সকাল ১১টায় ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসানলয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠিত হবে দোয়া ও প্রার্থনা। এছাড়াও ফজলুল হক মুসলিম হল আয়োজন করেছে আলোক শিখা প্রজ্জলন ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর।
বাংলা একাডেমি : সকাল ৮টায় রায়ের বাজার ও মিরপুরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে  পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। বিকেল ৪টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক জিনাত হুদা অহিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান, শমী কায়সার, ডা. নুজহাত চৌধুরী। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শিল্পকলা একাডেমী : বিকেল সাড়ে ৫টায় একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা, শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নাটক মঞ্চায়ন হবে।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি : মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, রায়ের বাজার বধ্যভূমি ও ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button