শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল ৭ট ৫৯মিনিটে তারা একই সঙ্গে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রী এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এর পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে লাল সবুজের পতাকা ও বাহারি সব ফুল হাতে তারা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা রকম কর্মসূচি পালন করছে। এর মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা দিন। বাঙালীর মেধা-মনন-মনিষা শক্তি হারানোর দিন। মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বাংলাপিডিয়ার তথ্য মতে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী ছিলেন।