বিয়ে করলে মামলা তুলে নেব
মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি বলেছেন, ক্রিকেটার রুবেল আমাকে বিয়ে করলে মামলা তুলে নেব। রবিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার পর মিরপুর মডেল থানায় এ কথা বলেন হ্যাপি।
হ্যাপি বলেন, রুবেলের সঙ্গে আমার নয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে কয়েকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। আর এটা হয়েছে মিরপুর কমার্স কলেজের বিপরীতে তার বাসায়।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগেও সে ডেকে নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে। এ সময় আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। যা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। বিয়ের কথা বললেই সে নানা অজুহাতে পাশ কাটিয়ে চলে। এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। কিছুদিন পরে করব। ক্যারিয়ারটা আরেকটু এগিয়ে নিই। তুমি পড়াশোনা শেষ করো, তারপর ধুমধাম করে বিয়েটা হবে। এমন সব গল্প বলে দিন পার করত আর আমাকে ভোগ করত।
হ্যাপি বলেন, তিন-চার দিন আগে আমি তাকে বিয়ের কথা বলি। উত্তরে রুবেল বলে, মিডিয়ার মেয়েরা ভালো না। তাদের চরিত্র খুব খারাপ। তাদের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুতরাং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না। বিয়ে করবে না তো এত দিন আমার শরীরটা নষ্ট করলে কেন- এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল আমার গায়ে হাত তোলে। সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি তার সঙ্গে। আমি ভেবেছিলাম, রুবেল আমাকে ফোন করবে। কিন্তু না, কয়েক দিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই তার সঙ্গে। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমাকে মামলা করতে হলো, অভিযোগ করেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। তিনি বলেন, আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে আমি সেটা প্রমাণ করতে পারব। প্রমাণ নিয়েই আমি প্রতারণা ও নারী নির্যাতন মামলা করেছি। সাংবাদিকরা রুবেলকে জিজ্ঞাসা করুন। তাহলেই সত্য উন্মোচিত হবে। মিরপুর থানা থেকে বাসায় ফিরে যাবেন বলে জানান হ্যাপি। তিনি বলেন, মিরপুর থানায় কিছু কাজ আছে। সেগুলো শেষ করে বাসায় ফিরে যাব। হ্যাপি বলেন, মামলা তুলে নেবার কোনো প্রশ্নই নেই। মামলা তোলার জন্য মামলা করিনি। তবে রুবেল যদি মীমাংসায় আসতে চান তখন মামলা তুলে নেবার ব্যাপারে ভাবব। এর আগে রবিবার দুপুর ১টায় হ্যাপির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় মিরপুর থানা পুলিশ।