তারেক রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দায় যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরাম
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য শাখা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ফোরামের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার তারেক বিন আজিজ ও সলিসিটর বিপ্লব পোদ্দার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আইনজীবীরা অবিলম্বে তারেক রহমানের নামে দায়েরকৃত সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে সব মামলা প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় রাজপথ ও আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। তারা বলেন, ষড়যন্ত্রের পথ না ছাড়লে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটবে। দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্য নেতারা হলেন- ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দীন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, সলিসিটর একরামুল মজুমদার, ব্যারিস্টার হাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত, ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার আবু সালেহ মোহাম্মদ সায়েম, ব্যারিস্টার শাহজাহান, ব্যারিস্টার মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার এম আশরাফুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার একেএম হাসনাত, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার শামসুজ্জোহা প্রমুখ।
যৌথ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও কর্ম সম্পর্কে বাস্তব তথ্য তুলে ধরায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দশ্যে প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রমাণ করে সরকারের নির্দেশেই আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
আইনজীবী নেতারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে তারেক রহমানের অপেক্ষায়। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির এই রোল মডেলকে বিতর্কিত এবং রাজনৈকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি ছুড়ছে। জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের এই অপকৌশল প্রতিহত করবে। তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ঠেকাতেই সরকার এসব মিথ্যা মামলা করছে অভিযোগ এনে যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা সরকারকে হুশিয়ারি দেন। বলেন, তারেক রহমান যেদিন ঢাকার মাটিতে পা দিবেন, সেদিন লাখ লাখ মানুষের ঢল নামবে। সেদিনই বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।