২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গাজায় হামাসের মহড়া
ইসরাইলকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্য আয়োজিত এক সমাবেশে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। হামাসের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়।
গত রোববার হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার উপস্থিতিতে এ মহড়া চলে। গাজার হাজার হাজার অধিবাসী সরাসরি মহড়া দেখেছে। এ সময় হামাসের যোদ্ধাদের রণকৌশল ও সামরিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। হামাসের প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে ‘আবাবিল’ ড্রোন এবং ‘কাসসাম’ পেণাস্ত্রের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সমাবেশে হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেডের কথা উল্লেখ করে হামাস নেতা খলিল আল হাইয়্যা বলেন, এই ব্রিগেডের হাতেই ইসরাইল ধ্বংস হবে। ‘কাসসাম’ পেণাস্ত্র প্রদর্শন করা হলেও এর পাল্লা সম্পর্কে সেখানে কোনো তথ্য উল্লেখ ছিল না। এর মাধ্যমে ইসরাইলকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কাসসাম পেণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানো হয়েছে। এর আগেই হামাসের পদস্থ কর্মকর্তা সালাহ আল বোরদুইল ঘোষণা করেছিলেন তাদের কাছে ইসরাইলকে অবাক করার মতো নতুন কিছু রয়েছে।
১৯৮৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ক্রমেই সংগঠনটি শক্তিশালী হয়ে এখন ফিলিস্তিনিদের আশা-আকাক্সার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ইতিহাসে এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ অনুষ্ঠান একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসরাইল যদি গাজার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ করে না দেয় তাহলে তার জন্য মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরণ ঘটবে যা ইসরাইলের দখলদারিত্বের পে যাবে না।
এ ছাড়া ইসরাইলের কারাগারগুলোতে বন্দী ফিলিস্তিনিরা শিগগিরই মুক্তি পাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বন্দীদের উদ্দেশ করে আরো বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আপনারা স্বাধীনতার আলোর কাছাকাছি অবস্থান করছেন। সে কারণে সংখ্যা, ব্যক্তি, জীবন, মৃত্যু, কিভাবে এবং কখন এসব ভেবে বিরক্ত হওয়ার দরকার নেই। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ লড়াইয়ের চার মাসের মাথায় হামাস তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল।