হারাম শরীফ চত্বরে ৩শ ছাতা নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন

Ambrelaদুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ আব্দুল্লাহ মদীনায় মসজিদে নববীর অনুরূপ মক্কায় মসজিদে হারাম আঙিনায় ৩শ ছাতা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন।
মক্কার গবর্নর প্রিন্স মিশাল বিন আব্দুল্লাহ পবিত্র হারামে মুসল্লিদের সমস্যা সমাধানে বাদশাহর এই পদক্ষেপের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
মসুল্লিরা হারামের বাইরে তপ্ত গরমে সালাত আদায় করেন। দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ আব্দুল রহমান আল সুবেইস জানান, আমরা নয়া এলাকা সম্প্রসারণসহ মসজিদে হারামের আঙিনায় ৩শর বেশি ছাতা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি জানান, এতে করে মসজিদ চত্বরের প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার উন্মুক্ত জায়গা ছাতার আওতায় আসবে। হাজীদের সুবিধার্থে মসজিদে নববীতে প্রায় আড়াইশ ছাতা রয়েছে।
ফুল ফোটার মতই ছাতাগুলোতে ভাঁজ খুলে যায় এবং বন্ধও হয়ে যায়। এই ভাঁজ খোলা ও বন্ধ হওয়ার যথাযথভাবে হয় এবং একটির সঙ্গে আরেকটির সংঘর্ষের ঘটনা এড়িয়ে তা করা হয়।
ছাতা ভাঁজ হওয়া বা বন্ধ করার স্বয়ংক্রিয় নীরব কর্মসূচির ফলে দৈনন্দিন তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। প্রতিদিন ভোরে ঈষৎ আলো বিশিষ্ট ছাদ তৈরি করার জন্যে খুলে দেয়া হয় এবং তা সন্ধ্যায় অর্থাৎ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে বন্ধ করা হয়। গ্রীষ্মে উন্মুক্ত ছাতাগুলো দিনের বেলায় ছায়া দেয় এবং রাত্রীকালীন সময়ে বন্ধ করা হলে পাথেরের মেঝে কর্তৃক সেগুলোকে বাড়তি তাপ শুঁষে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
শীতে এই প্রক্রিয়ার উল্টোটা হয়। যখন তাপমাত্রা তুলনামূলক নিচে নেমে যায় তখন উষ্ণতার জন্যে শীতকালীন সূর্যের আলো যাতে দিনের বেলায় উন্মুক্ত দেখা যায় সেজন্যে ছাতা বন্ধ রাখা হয়। মসজিদ পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এর ফলে হারাম চত্বরের তাপমাত্রাও নিচে নেমে যায়।  মসজিদে হারামের চত্বরে এই ছাতার ফলে হাজী ও মুসল্লিদের আরো অধিকতর সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button