জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস পালন

UN Bangladeshজাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঘুণেধরা সমাজটাকে বদলানোই হোক এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে বুধবার প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়।
মিশনের এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালা দু’টি পর্বে সঞ্চালিত হয়। প্রথম পর্ব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান রকিবুল হক ও দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব (প্রেস) মামুন-অর-রশিদ। শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
এরপর স্বাগত বক্তব দেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক-সঙ্গীতজ্ঞ তাজুল ইমাম স্থায়ী প্রতিনিধির হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইমাজউদ্দিন প্রামানিকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় এবং মিশনের পক্ষ থেকে তাদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন। সিটি অব পেটারসনের মেয়রের দেয়া প্রোক্লামেশন পাঠ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মেরাজ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে অন্তরায়সমূহ বিশদভাবে তুলে ধরেন সাংবাদিক কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস।
এতে আরো বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল বাতেন, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সুব্রত বিশ্বাস ও নারীনেত্রী মমতাজ শাহনাজ।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি করেন মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আনোয়ার বাবলু ও জেড এইচ আরজু।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামানিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারসমূহ তুলে ধরেন।
দিবসের শুরুতে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে মিশনের সকল কর্মকর্তা ও অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করে।
এসময় নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের মিনিস্টার (ইকোনমিক) বরুণ দেব মিত্র।
অনুষ্ঠানে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণিকের। পরাজয়ের বেদনা সহজে ভোলার নয়। তাই ৭১’র পরাজিত শক্তি হিংস্রফণা তুলে আঘাত হানতে উদ্যত। আজ কলহ, সংকীর্ণ স্বার্থ ভুলে দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য বড় জরুরি। মানবের কল্যাণে মানবাত্মার বিকাশে কাজ করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সমাজ পরিবর্তন। যেটি ছিল বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বিপ্লবের দর্শন।
সবশেষে সমাপনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সবিতা দাস ও তাজুল ইমাম। -বাসস

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button