বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বাড়বে : মজীনা
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্ক অনেক ভালো ও উন্নত। এ অবস্থায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যি আরও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সাক্ষাত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ড্যান ডব্লিউ মজীনা। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মজীনা বলেন, ‘বর্তমানে পোশাক খাতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশটির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক হবে সবচেয়ে ভাল ব্র্যান্ড। এ জন্য আইন ও নীতির বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরও অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব বাধা অতিক্রম করে মানবউন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে এ দেশের বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটবে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সব চ্যালেঞ্জ আছে, বাংলাদেশ তা অতিক্রম করে বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাঁড়াবে। এ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিনিয়োগ রয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।’
পোশাক শিল্পের কর্ম পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার ঘটনার পর এ দেশের মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। উন্নতি হয়েছে কর্ম পরিবেশের।’
তৈরি পোশাকের পর বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের উত্থান ঘটবে বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘পোশাক খাতের মতো বাংলাদেশের চামড়া শিল্প প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাবে। বিশ্ব বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বহুগুণ বাড়বে। চামড়া শিল্পের কর্ম পরিবেশে অতিদ্রুত উন্নতি করছে বাংলাদেশ। পরিবেশ দূষণ বন্ধে শিল্প নগরীতে বর্জ্য শোধনাগার করা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে তা চালু হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের চামড়াজাত পণ্যের বাজার উন্মুক্ত হবে। বিশেষ করে জুতা, বেল্ট ও ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের চামড়াজাত পণ্য বহুল পরিমানে রফতানি বাড়বে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিক কর্ম পরিবেশ, ইপিজেড শ্রমিক ইস্যু, চামড়া এবং ওষুধ শিল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সব কয়টি খাতেই বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে।’
বৈঠক সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো চুক্তির (টিকফা) ভিত্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য চলবে। এর চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে উভয়দেশের পরিকল্পনা রয়েছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে পোশাকের এক নম্বর বাজার যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বাজারে পোশাকসহ অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি আরও বাড়বে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি এখন কোনো দেশের জন্য চালু নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যবস্থা চালু করা হলে বাংলাদেশকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।