লন্ডনে লোকসান দিয়ে পূবালী মানি এক্সচেঞ্জ বন্ধ ঘোষণা

Pubaliঅহিদুজ্জামান: পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় লন্ডনে পরিচালিত ‘পূবালী মানিএক্সচেঞ্জ- ইউকে’ গত চার বছরে অর্ধ মিলিয়নের বেশি পাউন্ড লোকসান দিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানির ম্যানেজার মহিউল ইসলাম জানান, এটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড দেশে প্রেরণ করলেও কোম্পানি আদৌ কোনো লাভের মুখ দেখেনি। তিনি বলেন, এ ব্যবসায় লাভ খুবই সীমিত। কিন্তু লন্ডনে খরচ অনেক বেশি। মূলত আমরা ব্রিটিশ কারেন্সি অর্থাৎ বৃটিশ পাউন্ড বাংলাদেশে পাঠানোর কাজটি করেছি। এই একটি মাত্র প্রোডাক্ট দিয়ে খরচের ভার বহন করা সম্ভব নয়। এ ব্যবসায় লাভের হার শতকরা ১ শতাংশও নয়। ফলে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক ২০১১ সালে তিন লাখ পাউন্ড পূঁজি বিনিয়োগ করে লন্ডনে এ ব্যবসা চালু করে। এ সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এটি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ-বাঙালি এমপি রোশনারা আলি।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক মূলধন শেষ হলে বাংলাদেশ থেকে পূবালী ব্যাংকের পাঠানো  টাকায় কোম্পানির খরচ চলতে থাকে। সাথে ব্যয় হতে থাকে কাস্টমার থেকে পাওয়া কমিশনের আরো প্রায় ৩ লাখ পাউন্ড। সবমিলিয়ে কোম্পানির লোকসান  হয়েছে ৫-৭ লাখ পাউন্ড।
আইন অনুযায়ী কাস্টমার লেনদেনের টাকা খরচ করা মারাত্মক অপরাধ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানিএক্সচেঞ্জগুলো তা মানে না বলে জানালেন স্টান্ডার্ড এক্সচেঞ্জের  সি ই ও মো. কামরুল ইসলাম ।
তবে মহিউল ইসলাম জানান, কাস্টমার লেনদেনের অর্থ খরচ হলেও  মূল ব্যাংক তা রেমিটিকে বাংলাদেশে পরিশোধ করে দেয়। ফলে কোনো কাস্টমারের অভিযোগ নেই। তবে এটা বেআইনি। কোম্পানির ব্যয় ঢাকা থেকে বহন না করায়  আইনি ঝুঁকি বহন করতে হচ্ছে। এই অপরাধে যে কোনো সময়ই বাংলাদেশি মানিএক্স কোম্পানিগুলোকে মোটা অংকের জরিমানা আদায়সহ বন্ধ করে দিতে পারে ব্রিটিশ সরকার।
কামরুল ইসলাম আরো জানান, এই অনিয়ম অডিটে ধরা পরলে ব্রিটিশ সরকার মোটা অংকের জরিমানাসহ কোম্পানি বন্ধ করে দিবে। এতে বৈধ পথে লন্ডন থেকে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠানোর পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর তার কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড বাংলাদেশে যায়। দৈনিক গড়ে প্রায় ২০০ জন লন্ডন প্রবাসী দেশে টাকা পাঠায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button