নিউইয়র্কে ২ পুলিশকে গুলি করে হত্যা
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে শনিবার এক বন্দুকধারীর গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই হত্যার কারণ জানা যায়নি।।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে ব্র“কলেনের বেডফোর্ড-স্টুয়িভেসান্ত এলাকায় পুলিশের এক টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারী। গুলিতে গুরুতর আহত হন গাড়িতে বসে থাকা দুই পুলিশ কর্মকর্তা পলিউ উয়েনজিন এবং রাফেইল র্যামস। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তারা মারা যান।
এ সম্পর্কে নিউইয়র্কের পুলিশ কমিশনার বিল ব্রাটন এক বিবৃতিতে বলেছেন,শনিবার নিউইয়র্কের দু’জন চমৎকার পুলিশকে কোনো কারণ ছাড়াই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি স্পষ্টতই একটি হত্যাকাণ্ড।’
শনিবার পুলিশের ওপর হামলা করার পরপরই বৃষ্টির মধ্যে নিকটস্থ সাবওয়ে স্টেশনে পালিয়ে যান ওই বন্দুকধারী। সেখানেই নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
হামলাকারী সম্পর্কে নিউইয়র্ক পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্দুকধারীর বয়স ২৮ বছর এবং তিনি একটি অপরাধী চক্রের সদস্য ছিলেন। শনিবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ব্রুকলিনের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই হামলাকারী। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই যুবক পুলিশের ওপর কেন হামলা চালিয়েছেন সেটি স্পষ্ট নয়। তবে নিউইয়র্কের পুলিশের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ ছিল। নিজের ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন সময়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বার্তা পোস্ট করেছিলেন।
এছাড়া ওই দুই পুলিশকে হত্যা করার আগে তিনি তার এক সাবেক প্রেমিকাকে গুলি করেছিলেন বলেও জানা যায়।
নিউইয়র্কের পুলিশের ওপর এমন এক সময়ে হামলার ঘটনাটি ঘটলো, যখন এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে শহরের পুলিশ বিভাগ। তবে আদালত হত্যাকারী ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।