গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে আইনের শাসন, সুরক্ষিত মানবাধিকার ব্যবস্থা এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মিনিস্টার (অর্থ প্রতিমন্ত্রী) ও হাউজ অব কমন্সের হুইপ লর্লিবাট এমপি এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য জন হেমিং এমপি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
রবিবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিশেষ উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল, সাংবাদিক ও গবেষক মাহাবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী, আনোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা জাহেদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দল যুক্তরাজ্য শাখার আহবায়ক নাসির আহমেদ শাহীন প্রমুখ।
লর্লিবাট এমপি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা গভীরভাবে পর্যক্ষেণ করছে। বিগত ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন যুক্তরাজ্যর জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনে সক্ষম হবে বলে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ বৃটিশ এমপি।
জন হেমিং এমপি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যক্তি ও চলাচলের স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে যুক্তরাজ্য উদ্বিগ্ন। গণতন্ত্রের জন্য এটি কোনো শুভ লক্ষণ নয়। এ পরিস্থিতি উত্তরণে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একটি সমঝোতায় উপনীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতা রিজভী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে। জনগণের দাবিকে অগ্রাহ্য করে বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের গভীর সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনগুলোতে দু-দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান সর্ম্পক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বিভিন্ন দুযোর্গ ও দূর্বিপাকসহ সব সময় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে ছিল। বর্তমান রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংকটেও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে।