১ হাজার ৬৫৪টি পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিল করলো বিজিএমইএ

বিজিএমইএ’র নিয়মনীতি না মানার কারণে এক হাজার ৬৫৪টি পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিল করলো তৈরি পোশাক শিল্পের এই সংগঠনটি। এতে করে সংগঠনটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা নেমে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৭৬টি।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ’র কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের সভায় কারখানার সদস্যপদ বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিজিএমইএ’র সদস্য রেজিস্ট্রার থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোট ১ হাজার ৬৫৪টি কারখানার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২০০২ সালে ৫০২টি প্রতিষ্ঠান, ২০১২ সালে ৫৮৬টি, ২০১৩ সালে ১০১টি, বিভিন্ন সময়ে ২০টি কারখানার (কারখানা কর্তৃক আবেদনের প্রেক্ষিতে), ২০১৪ সালে ঢাকা অঞ্চলের ৩৪১টি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০৪টি কারখানার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে,অর্থিক সংকটের কারণে অনেক কারখানার মালিক তাদের বার্ষিক চাদা পরিশোধ করতে পারছেনা। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের শ্রমিকদের বেতন ভাতা দিতে পারছেনা। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে। আর এতে করে শ্রমিকরা বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও করছে। এমন সব নানা সংকটের কারনে অনেক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করেই তাদের সদস্য পদ বাতিলের আবেদন করেছেন। দীর্ঘ দিন এই সদস্য পদ বাতিলের এই দাবি ঝুলে থাকলেও অবশেষে তা সিদ্ধান্ত হয়। ২০০২ সাল থেকেই এই সদস্য পদ বাতিলের দাবি আলোচনায় উঠে আসে। নানা প্রকিবন্ধকতার কারনে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজিএমইএ কতৃপক্ষ।অর্থিক সংকটে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিবিন্ন সময় আন্দোলন হয়। এতে করে প্রতিকূল অবস্থায় পড়তে হয় বিজিএমইএ কতৃপক্ষকে।এসব প্রতিষ্ঠানের দায়ভার নিতে হয় বিজিএমইএকে।
বিজিএমইএ’র সংঘবিধি অনুচ্ছেদ ৭(এ)(২) অনুসারে বাৎসরিক চাঁদা সময়মতো পরিশোধ না করা, সমিতি কর্তৃক ধার্যকৃত অন্যান্য চাঁদা প্রদান না করা এবং বিভিন্ন সময়ে কমপ্লায়েন্স এর শর্তসমূহ প্রতিপালনে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এ কারখানাগুলোর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপরোল্লেখিত কারখানাগুলোর সদস্যপদ বাতিল করার কারণে বর্তমানে বিজিএমইএ’র সদস্য সংখ্যা ৫ হাজার ৮৭৬ থেকে কমে দাঁড়ালো ৪ হাজার ২২২টি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button