সাংবাদিকদের জন্য ২০১৪ সাল ছিল ভয়াবহ
আন্তর্জাতিক সংবাদদাতাদের জন্য ২০১৪ সাল ছিল ভয়াবহ বছর। গণমাধ্যমের পরিস্থিতি পর্যবেণকারী সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) বার্ষিক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়। সিপিজে’র গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন গোলযোগপূর্ণ স্থানগুলোতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যে ৬০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আন্তর্জাতিক সাংবাদিক।
নিহত আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন রয়েছেন। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিমান হামলার প্রতিবাদে দুই মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলি ও স্টিভেন স্টলফের শিরচ্ছেদ করে সংগঠনটির জঙ্গিরা। আইএস যোদ্ধারা গত কয়েক মাসে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ইসলামি খেলাফত ঘোষণা করেছে।
আফগানিস্তানে নির্বাচনের খবর সংগ্রহকালে পুলিশের গুলিতে এসোসিয়েটেড প্রেসের জার্মান আলোকচিত্রী আনজা নিদ্রিংগাস পুলিশের গুলিতে মারা যান।
ইউক্রেনে চলতি বছর নিহত পাঁচ সাংবাদিক ও দুই গণমাধ্যম কর্মীর মধ্যে পাঁচ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক রয়েছেন। এটা ২০০১ সালের পর দেশটিতে প্রথম সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট হত্যাকান্ড বলে সিপিজে নিশ্চিত করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালে নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ হলো আন্তর্জাতিক সাংবাদিক।
পশ্চিমা সাংবাদিকদের প্রাণহানির হার বেশি হলেও সিপিজে’র গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের বেশিরভাগই তাদের পেশার জন্য স্থানীয়ভাবেই বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে সিরিয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দেশটিতে স্থানীয় সাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। সিরিয়া ২০১৪ সালেও সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ নিয়ে পরপর তিনবার দেশটি একই স্থান ধরে রাখলো। ২০১৪ সালেও সিরিয়ায় ১৭ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
সিপিজে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসের হাতে কমপক্ষে ২০ সাংবাদিক জিম্মি রয়েছেন এবং তাদের বেশিরভাগই স্থানীয় সাংবাদিক।
২০১১ সালে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।