তেলের দর পতনে সৌদি মার্কিন কারসাজি ?
ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বে তেলের দাম কমে গেছে নাটকীয়ভাবে। এর প্রত্যক্ষ ফল হলো আপনি আপনার গাড়িতে আগের চেয়ে বেশি তেল ভরতে পারছেন অনেক কম মূল্যে। তাতে অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আরেকটা যে ব্যাপার ঘটছে, সেটা হলো অর্থনৈতিক সংকট, যা বিশ্বের শক্তিবলয়গুলোর ভারসাম্য পর্যন্ত নষ্ট করে দিতে পারে। এর পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের যৌথ কারসাজি যা তাদের শত্রুদের কুপোকাত করার জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের টার্গেটে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র সৌদি আরবের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে এই দুটি রাষ্ট্র। তাই তেলের দাম কমিয়ে দিয়ে রাশিয়া ও ইরানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এমনকি দেশ দুটির সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটা অবশ্য ব্রিটেনের জন্যও অশনিসংকেতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের নর্থ বেসিনের শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদন নির্ভর করছে এই তেলের ওপরই।
ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অসন্তোষের ফলে উদ্ভূত নানা সমস্যা মোকাবেলায় রীতিমতো টলমল অবস্থা রাশিয়ার। নিষেধাজ্ঞায় জেরবার দেশটি চাইছে নানা উপায়ে সংকট কাটিয়ে উঠতে। ওদিকে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর চেষ্টা করছে পাঁচ বিশ্বশক্তিকে, কিছুতেই তাদের কব্জা করা যাচ্ছে না।
তাই তেলের দাম কমিয়ে দিয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিতে পারলেই নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ হয় তেলসমৃদ্ধ দেশ দুটির। বাইরে থেকে নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যা করা যায়নি, তাই করার চেষ্টা। দ্য মেইল অনলাইন।