মঙ্গলগ্রহে যাচ্ছেন বাংলাদেশী মেয়ে

Luluমঙ্গলগ্রহে যাচ্ছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান নাসার সহযোগী গবেষক লুলু ফেরদৌস। মঙ্গলগ্রহে প্রথমবারের মতো ৪ জন মানুষ স্থায়ী বসবাস করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি নারী লুলু ফেরদৌস বিরল এই কৃতিত্বতের অংশীদার হতে যাচ্ছেন। একটি ডাচ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০২৫ সাল নাগাদ সেখানে বসতি গড়ার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বাংলাদেশের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক পরিচালক অহিদুর রহমান খানের মেয়ে। মা রেজিয়া সুলতানা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া গ্রামে।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই লুলুর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ। সে লক্ষ্যে ২০০৭ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। যোগ দেন নাসার বিশেষ গবেষক হিসেবে।
মঙ্গলগ্রহে যাত্রার এই প্রকল্পে প্রথম দফায় দুই লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। মোট ২৪ জন নভোচারী নিয়ে মঙ্গলের উদ্দেশে দীর্ঘ সাত মাসের যাত্রা শুরু হবে। নাম ঘোষিত চারজনের একজন হওয়া লুলু ফেরদৌস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটি আমাকে দারুণভাবে আলোড়িত করেছে। এই প্রকল্পে শুধু একমুখী টিকিট দেওয়া হলেও আমি বিচলিত নই। আমি এটাকে উপভোগ করছি। আমার পরিবার শুনে অবাক হয়েছিল। প্রথমে আমাকে না করলেও, আমি জানি তারা এক সময় আমাকে নিয়ে গর্ব করবেন।’
বাছাই করা নভোচারীদের মহাকাশ যান চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অবস্থান করে কীভাবে নিজেকে বিরূপ আবহাওয়ায় টিকিয়ে রাখা যায়, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। উত্তর বালিয়া গ্রামের জাহিদ হোসেন খান বলেন, ‘লুলু ফেরদৌসের বাবা-মা ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। চাকরির সুবাদে লুলু ফেরদৌস থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার একমাত্র ছোট ভাই ইমরান সিঙ্গাপুরে পড়াশোনা করছেন।’ বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য গর্বের। লুলু ফেরদৌস চাঁদপুরের কৃতী সন্তান। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি সেই দিনটির জন্য, যেদিন তার প্রচেষ্টা সফল হবে। আমরা জাঁকজমকভাবে দিনটি পালন করব।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button