চীনে বড়দিনের উৎসবের ধুম
চীনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের উৎসব উদযাপন এক সময় বন্ধ থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে বেশ ঘটা করে ধুম-ধামের সঙ্গে বড়দিন উদযাপিত হচেছ।
দোকানিরা বড়দিনের কেনাকাটায় ক্রেতাদের কাছে টানতে নানা আকর্ষণীয় উপায় অবলম্বন করছেন।
বড়দিন উপলক্ষে দোকানপাটের জানালা প্লাস্টিকের ক্রিসমাস ট্রি, মালা ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়েছে। চারদিকে ঝুমঝুমির মিষ্টি আওয়াজ তো আছেই।
রাস্তায়, স্কুল ও হোটেলগুলোতে ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ লেখা ব্যানার শোভা পাচ্ছে। বিজ্ঞান আর মিডিয়ায় নানা উৎসবের বার্তা। অনেক রেস্তোরাঁয় স্টাফরা সান্তা ক্লস হ্যাট পরে বড়দিনের উৎসবের বার্তা জানান দিচ্ছেন।
চীনের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং ২০১০ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ফিনল্যান্ড সফরে গিয়ে ফাদার ক্রিসমাস কেবিনে ঢুকে পড়েছিলেন। তখন থেকে চীনে বড়দিন উদযাপন বেড়েছে।
বড়দিনের বিক্রি বাড়ানোর জন্য শপিং মলগুলোতে সান্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রয় কৌশলে পরিণত হয়েছে।
তরুণ ফাদার সান্তা ক্রিসমাস, তার শুভ্র দাড়ি ও গোলাকার পেট বড়দিনের বিশেষ প্রতীক হয়ে উঠে। অবশ্য এ বছর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্যাক্সো ফোনের মতো পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র।
প্রকৃতপক্ষে চীনে টেডি বিয়ার, সাত বামন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় ট্রেন পর্যন্ত পশ্চিমা বলে বিবেচিত সবকিছু ব্যবহার করেই বড়দিনের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করা হয়।
তবে বড়দিনের উৎসব বিশেষ করে নগর অঞ্চলের উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মধ্যেই সীমিত । বিশেষ করে যে সব তরুণ চীনা নাগরিক বিদেশে পড়াশোনা করেছেন, তারাই দেশে এই উৎসব নিয়ে এসেছে।
তবে চীনের বড়দিনের উৎসবে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য কেমন একটা নেই বললেই চলে। এখানে এটি বরং অনেকটা ভ্যালেন্টাইন ডে’র আমেজ মাখা।