হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মেলেনি
মডেল নাজনিন আক্তার হ্যাপীর ফরেনসিক পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। রিপোর্টে সামপ্রতিক সময়ে হ্যাপিকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার এসআই আল মামুন।
বুধবার রাতে তিনি , ‘আগে যদি হয়ে থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। তবে বুধবার ফরেনসিক বিভাগ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে সামপ্রতিক সময়ে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, ডাক্তার ফরেনসিক রিপোর্টে নোটে উল্লেখ করেছেন, ‘দ্য ভিকটিম হ্যাজ নট ফাউন্ড সেঙচুয়াল ইন্টারকোর্স অন হার বডি।’ নোটে আর বেশি কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে কোন কোন পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই নোট দিয়েছেন তা তিনি উল্লেখ করেননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ পারভেজ ছুটিতে থাকায় পুরো বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানান এসআই মামুন।
এ বিষয়ে হ্যাপি বলেন, ‘যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেটা তো সবাই জানে। সামপ্রতিক সময়ে তার সঙ্গে তো আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। এ রিপোর্ট আমি মানি না। তদন্ত কর্মকর্তা না আসা পর্যন্ত এ মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলতে পারব না। এ ছাড়া আইনজীবীর সঙ্গে আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে হবে।’
এর আগে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র রাইজিংবিডিকে জানায়, ফরেনসিক প্রতিবেদনে একজনের শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে সেটি কার তা জানা যায়নি। তারও আগে মঙ্গলবার হ্যাপি জানান, ফরেনসিক প্রতিবেদন আমার পক্ষেই আসবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় দলের পেসার রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপী। ওই দিন পুলিশ হ্যাপীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে।
পরদিন মেডিকেল টেস্টের জন্য হ্যাপীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে হ্যাপীকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
হ্যাপীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পরীক্ষা শেষে বুধবার তারা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে।