পাইপে থাকা শিশু সম্পূর্ণ ‘গুজব’
শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এনএসআই’র যুগ্ম-মহাপরিচালক আবু সাঈদ রায়হান।
তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, ক্যামেরা নামিয়ে পাইপে শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। তবে পাইপের তলায় জমে থাকা গার্বেজগুলো উঠিয়েও পরীক্ষা করা হবে।
১৭ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এ কথা জানান দায়িত্বরতরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল, সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘জীবন-মরণের কথা শুনে আমরা এখানে ছুটে এসেছি। যারা দক্ষ তাদেরকে আমরা হেলপ করতে বলেছি। অনেকেই আমাদের সাহায্যও করেছেন। ফায়ার সার্ভিসও প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টা চালাচ্ছে।’
পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা এসেছি ছেলেটিকে উদ্ধার করতে। পাইপের মুখ খোলা থাকার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে রেল মন্ত্রণালয়। তবে পাইপে কোনো মানুষ নেই, সেটা ক্যামেরায় দেখা গেছে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে দুপুরে প্রায় ৬শ ফুট গভীরে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের পানির পাইপে জিহাদ নামে সাড়ে তিন বছরের শিশুটি পড়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎ করে উন্মুক্ত পাইপটির ভেতরে পড়ে যায়। পরে বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চলায় ফায়র সার্ভিস। তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। রশি নামিয়ে উপর থেকে চিৎকার করে তা ধরতেও বলা হয়।
তখন শিশুটি বেঁচে আছে বলে দাবি করে ফায়ার সার্ভিস। কারণ উপর থেকে পাঠানো জুস শিশুটি খেয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল।