সহকর্মীকে শেষ বিদায় জানালো হাজার হাজার পুলিশ
নিউইয়র্কে শনিবার সহকর্মীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলো হাজার হাজার পুলিশ। নিহত রাফায়েল রামোসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পুরো যুক্তরাষ্ট্র থেকে যোগ দেয় এসব পুলিশ।
গত ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে এক বন্দুক হামলায় রামোস (৪০) ও অপর পুলিশ সদস্য ওয়েনজিন লিউ নিহত হন। পরে হামলাকারী ইসমাইল ব্রিন্সলে (২৮) আত্মহত্যা করে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ দুটি হত্যাকান্ডে পুরো দেশ আন্দোলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দুজন অফিসার যখন বুলেট বিদ্ধ হলেন তখন তা যেন আঘাত হানলো নগরে। আর এ ঘটনায় শোকার্ত হলো পুরো জাতি।
চার্চের বাইরে রাখা বড়ো বড়ো স্ক্রীনে রামোসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ানা, ক্যালিফোর্ণিয়া ও জর্জিয়া রাজ্যসহ পুরো দেশ থেকে কয়েক হাজার পুলিশ অংশ নেয়। নিহত অপর পুলিশ সদস্যের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তার পরিবার চীন থেকে আসার পর তাকে শেষ বিদায় জানানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ এক তরুণের প্রাণহানি এবং ওই পুলিশকে গ্রান্ড জুরি দোষী সাব্যস্ত না করার জের ধরে চলা বিক্ষোভ সম্প্রতি চরম রূপ নেয়। বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় হত্যা করা হয় উপরোক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে।
এদিকে এক মন্তব্যের জের ধরে নিউইয়র্কের মেয়র দ্য ব্লাসিও নগরীর ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্যের সমালোচনার মুখে পড়েন। কিশোর সন্তান দান্তেকে পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে সাবধান করেছেন এমন কথা মেয়র সাংবাদিকদের বলার পর তিনি তোপের মুখে পড়েন। চার্চের বাইরের বড়ো স্ক্রীনে যখন তাকে দেখা যাচ্ছিল তখন পুলিস সদস্যরা তার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে তাকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেন। কিন্তু চার্চের ভেতরে মূল মঞ্চে বক্তৃতায় ব্লাসিও রামোসের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।
নিউইয়র্কের গভর্ণর এন্ড্রু কওমো শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নগরীর সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত উত্তেজনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।