ব্রিটেনে ৬৪ লাখ মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগছে
ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশেও লাখ লাখ মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগছে। শরীর সুস্থ রাখার মতো প্রয়োজনীয় খাবার তারা পাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী ক্যালরির ঘাটতি পূরণ না হওয়ায় অপুষ্টিতে ভুগছে দেশটির প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ। তাদের একটাই আকুতি আমরা ক্ষুধার্ত, আমাদের খাবার দিন। এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি দেখে এগিয়ে এসেছে দেশটির সচেতন নাগরিক গোষ্ঠী। বড় বড় শপিংমল এবং খাদ্যপণ্যের দোকানে ‘প্লিজ ডোনেট ফুড’ লেখা সাহায্য বাক্স রেখে দিয়েছে।
মানুষের সাধ্যমতো সেখানে দান করছে। পরে সেসব খাবার স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। চলতি মাসে প্রকাশিত ব্রিটিশ সরকারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। রোববার ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, সরকারে এই রিপোর্ট ব্রিটেনের ভেতরের খবর প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো এই খাদ্য রিপোর্ট ‘আঁতকে ওঠার মতো’। ব্রিটিশ সরকারের পরিবেশ, খাদ্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্রিটেনের ১০ শতাংশ জনগণ গড়ে প্রতিদিন মাত্র ১৯৯৭ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করে। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ২০৮০ ক্যালরি খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে হতদরিদ্র জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এটা তার ‘শক্তিশালী নির্দেশক’। ব্রিটেনের ৬০০০ গৃহের তথ্যের ভিত্তিতে বার্ষিক এই জরিপ সম্পন্ন করেছে খাদ্য বিভাগ। তবে সমগ্র জনগোষ্ঠীর রিপোর্ট থেকে জানা যায়, জনগণ প্রয়োজনের তুলনায় ৫ শতাংশ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বাইরে রাখলে দেখা যাবে শুধু ধনীরা প্রয়োজনের তুলনায় ১৫ শতাংশ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করছে। অন্যদিকে অপুষ্টিতে ভুগছে ১০ শতাংশ জনগণ। এদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণে এগিয়ে এসেছে কয়েকটি দাতব্য সংস্থা। ‘ট্রাসেল ট্রাস্ট’ নামের একটি সংগঠন ৪০০ খাদ্য ব্যাংক খুলেছে। ২০১৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সংগঠনটি ৪ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ লোককে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। এ বিষয়ে ওয়াববিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও সামাজিক নীতি বিভাগের অধ্যাপক লিজ দাওলার বলেন, ‘এই তথ্য গুরুতর সমস্যার শক্তিশালী নির্দেশক।