রানীর দেহরক্ষীদের নিরাপত্তা বাড়াল ব্রিটেন

Queenআইএসের হামলার পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ। সেভাবেই নাকি হামলার ছক কষছে ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটির বহির্বিশ্বের সদস্যরা। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে গত রোববার এমনটাই দাবি করেছে ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘দ্য মিরর’। এই তথ্য প্রকাশের পরপরই রাজপ্রাসাদ এবং এর আশপাশের এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএসের হামলা থেকে রাজপরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত থাকলেও নিজেদের সক্ষমতা জাহির করার জন্য রানী এলিজাবেথের দেহরক্ষী বাহিনীর (কুইন্স গার্ড) কোনো সদস্যকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করছে আইএস সদস্যরা।
নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ‘সেইন্ট জেমস প্যালেস’ এবং ‘ক্লারেন্স হাউস’-এ নিয়োজিত কুইন্স গার্ড সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের অনুমান, আইএস সদস্যরা বন্দুক, ছুরি বা বোমা নিয়ে চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছে। তবে আইএসের হুমকির ফলে ব্রিটিশ ঐতিহ্যবাহী কোনো অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ‘বাকিংহাম প্যালেস’। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিদ্ধান্ত, কোনোভাবেই জনসম্মুখ থেকে কুইন্স গার্ডের মতো ঐতিহ্যবাহী এসব দেহরক্ষীকে সরিয়ে নেয়া হবে না। তবে ক্লারেন্স হাউসের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, গার্ডদের রুটিনওয়ার্কে ইতোমধ্যে বেশ পরিবর্তন আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী বছর ২১ এপ্রিল রানীর জন্মদিন উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী ‘হর্স গার্ড প্যারেড’ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা আছে।
তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুইন্স গার্ডের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সবার পেছনেই এখন পাহারা দিচ্ছেন একেকজন বিশেষায়িত সামরিক বাহিনীর সদস্য।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ‘জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আইএস জানে, রাজপরিবারের কোনো সদস্যের ওপর হামলা চালানো তাদের জন্য কতটা কঠিন। আর তাই তারা এখন হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কুইন্স গার্ডের সদস্যদের বেছে নিয়েছে।’
ব্রিটেন সরকারের কাছে এই রিপোর্ট এসে পৌছে প্রিন্স হ্যারির ৩০তম জন্মদিনের (১৫ সেপ্টেম্বর) আগেই। আর তখন থেকেই চূড়ান্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। বর্তমানে রানীর দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত আছে আফগানিস্তানের যুদ্ধফেরত অনেক সেনাও। বিশেষ লাল রঙের পোশাকে টানা দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকাই তাদের চিরাচরিত দায়িত্ব। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ‘আল-কায়েদা বা আইএস জঙ্গিদের এমন হুমকি আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। উগ্রপন্থীদের এই ষড়যন্ত্র রুখতে আমরা দ্বিতীয় সারির সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button