অনলাইনে বেচাকেনা বাড়ছে বাংলাদেশে
২০১৫ সালকে বাংলাদেশে ‘ই-কমার্স বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসায়ীদের সংগঠন, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এই ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০০-এর মতো ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে কমপক্ষে ৩০০০ পেজ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবাগুলো অনলাইনে বিক্রি করছেন।
আমার দেশ আমার গ্রাম নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের প্রধান সাদেকা হাসান বিবিসিকে জানান, ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে কাজ শুরু করেন। ২০১৪ আমাদের জন্য একটা মাইলফলক গেছে। বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। চমৎকার পরিবর্তন বলা যায়। এখন যদি অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়, অনেকে উদ্যোগী হয় তাহলে অনেকে না জেনে না বুঝে এটা শুরু করবে। যেভাবে অগ্রগতি হচ্ছে সেভাবেই পড়ে যাবে।
অনলাইন ব্যবসার চ্যালেঞ্জ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ই-কমার্স কিন্তু একটা আস্থার ওপর গড়ে উঠে।
সাদেকা হাসান বলেন, কাস্টমার কিন্তু পণ্যটা দেখছে না, ধরছে না। যে কোম্পানি সার্ভিস দেবে তার দায়িত্ব থাকে পণ্যটা কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। উদ্যোক্তারা যদি অভিজ্ঞ না হয়, প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকলে তাহলে এ ব্যবসায় ধস নামবে।
তিনি বলেন, এটাকে একটা পলিসির মধ্যে রাখলে সফলতা আসবে। তিনি জানান, বাংলাদেশে তারাই প্রথম ই-কমার্স শুরু করেন ও সাফল্যও তাদের রয়েছে।
যে কোনো ব্যাংক একাউন্ট থাকলেই গ্রাহক কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য কিনতে পারবেন। পলিসি লেভেল থেকে এগুলো কিন্তু খোলা আছে। যেসব ব্যাংক যে সার্ভিস দিচ্ছে তাদের একটু প্রমোশন দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় কিছু গ্রাহক আছে হয়তো সবজি-মাছ কিনছে। কিন্তু ৭০ ভাগ অর্ডার এসেছে ঢাকার বাইরে থেকে। এগুলো একটু প্রমোট করলে মনে হয় মার্কেট ওখানেই।