এটিএম আজহারকে পরিকল্পিত হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার
জাময়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে কথিত ট্রাইব্যুনাল বিচারবিভাগীয় হত্যার ব্যবস্থা করেছে।দেশের জনগণ প্রহসনের এই রায় মানেনা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক নাগরিক সংগঠন সেভ বাংলাদেশ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন। পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বুধবার ৩১ ডিসেম্বর আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সেভ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সেভ বাংলাদেশের কোঅর্ডিনেটর ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা।
বক্তারা বলেন, আজহারের মৃত্যুদন্ডের রায় পৃথিবীর অস্টামাশ্চর্যের একটি ঘটনা। তিন মাইল, দেড় মাইল আর এক মাইল দূর থেকে দেখা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়েছে কি রায় দেয়া হবে সেটি বহু আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল। মাঝখানে কেবল বিচার বিচার খেলা খেলা হয়েছে। বকক্তারা বলেন, স্বৈরাচারীরা এভাবেই দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দকে অতীতে হত্যা, নির্যাতন করেছে আদালতের উপর বন্দুক রেখে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী কোন স্বৈরাচারীরই শেষ রক্ষা হয়নি। জনগণ যখন খেপে উঠবে তখন পীঠের চামড়া বাচানোর আর কোন পথ থাকবেনা। বিদেশী প্রভুরাও তখন আর কোন কাজে আসবেনা। বক্তারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দলন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ টি এম আজহারুল ইসলাম উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। তার পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে দেশের কোন থানায় মামলা তো দুরের কথা বরং কোন থানায় সাধারণ ডাইরীও করা হয়নি। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো সাক্ষীর মাধ্যমে একজন জাতীয় নেতাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনগণ সরকারের এহেন দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না বরং সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশুন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের একের পর এক প্রাণদন্ডে দন্ডিত করছে। তারা ইতোমধ্যেই আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে নিয়ে একই ধরনের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। মূলত এটিএম আজহারুল ইসলাম দেশের একজন স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা রাজনীতিক। তিনি দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসীবাদী সরকার সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করলে তিনি ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব অত্যন্ত যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পালন করেন। ফলে বাকশালী সরকার তার উপর ঈর্শ্বাকাতর হয়ে যুদ্ধাপরাধের মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে তাকে হত্যার করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত মাওলনা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।