শুরু হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
বৃহষ্পতিবার থেকে শুরু হল ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এ মেলা শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি ২০১৫। এবারের মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৯৭ টি। মোট মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৫৮ টি। মোট স্টলের সংখ্যা ৩৫১ টি। রেস্তোরাঁ ১০ টি, মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র ০৪ টি। যার মধ্যে লে-আউট প্লান অনুযায়ী মোট ৫১৬ টি স্টল বা প্যাভিলিয়ন রয়েছে এবারের বাণিজ্য মেলায়।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসা করার জন্য সরকারে আসিনি। এসেছি ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে। বিদেশে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের মানুষের ক্রয়মতা বাড়ায় দেশেও পণ্যের চাহিদা বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে দেশের বাণিজ্যে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা তৈরি পোশাক রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ব্যবসায়ীদের এজন্য কাজ করতে হবে।
ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা মামলায় জয়ের মাধ্যমে বিশাল সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার অর্জিত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেশে ব্লু-ইকোনমি বিষয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আগামী দিনে এ ব্লু-ইকোনমি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশ থেকে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ মেলায় অংশ নিচ্ছে। যাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জামার্নি।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ২০ টাকা।
এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উত্সাহিত করতে বিশেষ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২৯টি স্টল থাকছে। পাশাপাশি সব নারী উদ্যোক্তা আবেদনকারীকে এবারের মেলায় সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, প্রবেশপথ, পার্কিং এরিয়া এবং চার পাশে ৮০টি ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়াও বাইরে থাকছে বিশেষ জায়গা। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো আইন মানছে কিনা, তা দেখতে ইপিবির একটি পরিদর্শন দল থাকছে। তারা মেলা প্রাঙ্গণে অভিযান চালাবে। মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রাইভেট সিকিউরিটি ফার্ম ও বিজিবি নিয়োগ, ওয়াচ টাওয়ার, মেটাল আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে।
মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় এবার থাকছে ৫০০ বিভিন্ন আকারের প্যাভেলিয়ন ও স্টল। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৯০। বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভেলিয়নের সংখ্যা ৯৭টি, মোট মিনি-প্যাভেলিয়নের সংখ্যা ৫৮টি, মোট স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি, রেস্তোরাঁ ১০টি, মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র চারটি।