উপভোগ করুন নিজের বিয়েও
বিয়ের দিনটা সকলের জীবনেই একটা বিশেষ দিন। কিন্তু হাজারো পরিকল্পনা তাকা সত্ত্বেও কিছু ত্রুুটি থেকেই যায়। তবে চেষ্টা করলে কয়েকটি বিষয়ে সজাগ থাকলে পরিস্থিতি হয়তো আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনিও উপভোগ করবেন জীবনের এই নতুন পদক্ষেপের প্রথম দিনটি।
১) চিন্তামুক্ত থাকুন : বিয়েতে এটা কোথায় রাখলাম, কেটারিং-এর লোক দেরি করছে কেন, আলমারির চাবিটা এই মাত্র দেখেছিলাম এসব ভাবতে ভাবতেই আমরা টেনশনে পড়ে যাই। তাই আনন্দটাই মাটি হয়ে যায় অনেক সময়। অত চিন্তা করবেন না। কোথায় কী রাখছেন তা আগে থেকে লিস্ট বানিয়ে কয়েক কপি রেখে দিন। আর সবাইকে আলাদা আলাদা করে কাজ ভাগ করে দিন। টেনশনে আপনার মাথা আরো গুলিয়ে যাবে।
২) বয়েই গেল : যতই আপনি বা আপনার পরিবার নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করুন না কেন, কিছু লোকের স্বভাব খুঁত ধরা। বিয়েবাড়ির খাওয়া-দাওয়া, বসার জায়গা, গিফট, ডেকরেশন নিয়ে এরা দু কথা না বলে শান্তি পান না। চেষ্টা করুন এসব কথায় কান না দিতে। আপনার বিয়ে, আপনি মনের মতো করে সাজাবেন। কে কী বলল তাতে ভারী বয়েই গেল।
৩) ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ : বিয়ের আগে থেকে যতই সব কিছু গুছিয়ে করেন না কেন, বিয়ের দিনে মনে হবে, কোনো কিছুই যেন সময়ে হচ্ছে না। তাই বিয়ের দিনে কখন কী করবেন তার একটা পুঙ্খানুপুঙ্খ লিস্ট তৈরি করে নিন। তবে দেখবেন নিজের নাওয়া-খাওয়ার সময়টুকু যেন থাকে।
৪) ঘুমিয়ে নিন : বিয়ের আগের রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। হলুদের অনুষ্ঠান একটু আগেভাগেই শেষ করুন। তারপর ঘুম দিন। কারণ ঘুম পরিপূর্ণ না হলে কান্ত লাগবে। বিয়ের দিন সকাল থেকে যতই তরতাজা থাকতে চেষ্টা করুন না কেন বেলা বাড়ার সাথে সাথে টেনশনে কমবে আর এনার্জি লেভেলও।
৫) অধৈর্য হবেন না : নিমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বা বর ও কনেপক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য বিয়েবাড়িতে নতুন কোনো ব্যাপার নয়। সব সময় তা এড়িয়ে চলা যায় না। কিন্তু কীভাবে সামলাবেন, কোথায় কতটা শক্ত হাতে মোকাবেলা করবেন তার পথ নিজেকেই বাতলাতে হবে। তাই ধৈর্য ধরুন।
৬) আনন্দাশ্রু : আবেগকে অযথা চেপে রাখবেন না। বিদায়বেলায় আত্মীয়-বন্ধু-পরিবার পরিবেষ্টিত হয়ে থেকে আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেন না। কে কী ভাববে আর মেকআপ খারাপ হয়ে যাবে, এই ভয়ে কখনোই হাসি বা কান্নার মতো একান্ত ব্যক্তিগত আবেগগুলোকে চেপে রাখবেন না। এমনকী অভিমানও
নয়। স্বাভাবিকভাবে সব কিছু প্রকাশ করাটাই কাঙ্খিত।
৭) আনন্দে মাতুন : বিয়ের দুই দিন আগে থেকেই সব সময় কী হল কী হলো ভাববেন না। দেখবেন সব দিকে তাল রাখতে গিয়ে কখন যে সবকিছু হয়ে গেল আপনি ভালো করে এনজয় করতেও পারলেন না। তাই যথাসম্ভব নিজেকে ফ্রি রেখে আনন্দে মাতুন।
ভালো-খারাপ নিয়েই তো জীবন। প্রাণভরে শ্বাস নিন। যাতে কয়েক বছর পরেও বিয়ের দিনটাই আপনার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকে, যাবতীয় মলিনতা সত্ত্বেও।