যে কারণে ভেস্তে গেল খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা
ভেস্তে গেছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা। পরিকল্পনা ছিল শনিবার রাতে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসুস্থ দলটির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যাবেন তিনি। সেখানে অবস্থান করেই আন্দোলনের নির্দেশনা দেবেন তিনি। কিন্তু তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। আটক হন রিজভী, অবরুদ্ধ হন খালেদা জিয়া।
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই অবস্থান করবেন। চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কার্যালয়ের দোতলায় ডান দিকে দলের চেয়ারপারসনের অফিস কক্ষটি সুসজ্জিতও করা হয়। নতুন টাইলস বসানো হয়। তবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটনোর আগেই গুলশান অফিসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া।
জানা গেছে,এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে গোয়ান্দা কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছায় তার এই পরিকল্পনার খবর। এই খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই চিকিত্সার কথা বলে রিজভীকে নয়াপল্টন থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় খালেদা জিয়াও তার গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে পুলিশ মূল ফটক আটকে রাখে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। এর এক ঘণ্টা পর রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশের যে গাড়ি দিয়ে ফটকের সামনের রাস্তা আটকে রাখা ছিলে তা সরিয়ে নেয়া হয়।
পরে পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, উনি বাসায় যাওয়ার জন্য অলরেডি পারমিটেড। খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয় থেকে সরাসরি বাসায় যেতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই। তবে বাসা থেকে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না। বাইরে যেতে চাইলে প্রয়োজনে পুলিশ বল প্রয়োগ করবে। আর যদি তিনি বাসায় যেতে না চান তাহলে কার্যালয়েই থাকতে হবে। এরপর পুলিশের ব্যারিকেড তুলে নেয়া হলেও রাতে সেখানেই থেকে যান তিনি। তা সঙ্গে তখন ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস,মহিলা দলের শিরিন সুলতানা, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা, সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
জানা গেছে, শনিবার রাত দেড়টায় খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তার নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সামগ্রীগুলো নিয়ে আসেন বাসভবনের একজন আয়া ও তিনজন নিরাপত্তাকর্মী। একটি কালো লাগেজ, একটি প্লাস্টিকের একটি ছোট ব্যাগ ও একটি শপিং ব্যাগে করে তার নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র- কার্যালয়ের ভেতরে আনা হয়।