যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিপাকে রাজপ্রাসাদ
ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র যুবরাজ অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্কা এক মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। রবিবার ব্রিটেনের বেশ কিছু সংবাদপত্রে অভিযোগের আরো বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তা খারিজ করে গত কদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত বিবৃতি দিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। রাজপ্রসাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কা কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ “পুরোপুরি অসত্য।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাসাদের পক্ষ থেকে একই বিষয়ে কদিনের ব্যবধানে একাধিকবার বিবৃতি প্রকাশের ঘটনা অস্বাভাবিক। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং রাজপরিবারের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
ডেইলি মেইল পত্রিকা অভিযোগকারীর নাম ও ছবি প্রকাশ করেছে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত ভার্জিনিয়া রবার্টসের পরিচিতি সম্পর্কে বিবিসি এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক আদালতে দায়ের করা অভিযোগের নথিপত্রের সূত্রে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং ক্যারিবীয় একটি দ্বীপে অন্তত তিনবার প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌনসংগমে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। সেসময় ওই নারীর বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমপক্ষে ১৮ বছর।
অভিযোগে আরও বলা হয়, জেফরি এপস্টেইন নামে এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন বেশ কিছু লোকের সঙ্গে তাকে জোর করে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করেছেন। আদালতের নথিতে যুবরাজ অ্যান্ড্রু এবং অ্যালান দারসোয়িজ নামে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন অধ্যাপকের নাম রয়েছে।
সাবেক অধ্যাপক অ্যালান দারসোয়িজ হুমকি দিয়েছেন তিনি নির্যাতিত ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, তিনি মনে করেন যুবরাজ আ্যান্ড্রুরও উচিৎ আইনের পথে যাওয়া।
অল্প বয়স্কা একটি মেয়েকে জোর করে যৌন ব্যবসায় নামানোর দায়ে এপস্টেইনের ১৮ মাসের কারাদণ্ড হয়েছিলো। এমন এক ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ যুবরাজের সমালোচনা হয়েছে। সমালোচনার মুখে যুবরাজ অ্যান্ড্রু ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ে ব্রিটেনের বিশেষ প্রতিনিধির পদ ছেড়ে দেন।