৬ মাসে সিরীয় শরণার্থী বেড়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার
গত বছরের প্রথম ছয় মাসে সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে সাত লাখ চার হাজার এবং জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) অধীনে এখন সবচেয়ে বেশি রয়েছে সিরিয়ার শরণার্থী।
ইউএনএইচসিআর’র এক প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়েছে, বর্তমানে সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শরণার্থীর সংখ্যা ৪২ লাখ ৭০ হাজার হতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান অ্যান্টোনিও গুটেরাস সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তুচ্যুতির সতর্কবাণী করার পরদিন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল।
অ্যান্টোনিও গুটেরাস মঙ্গলবার বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে ব্যাপক সঙ্কটের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবার গৃহহীনের পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর হতে পারে।’
তিনি বলেন, ১৯৪৫ সালের পর গৃহহীনের এ সংখ্যা প্রথমবারের মতো পাঁচ কোটিতে উন্নীত হতে পারে।
ইউএনএইচসিআর’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) অধীনে এখন সবচেয়ে বেশি রয়েছে সিরিয়ার শরণার্থী। এর আগে গত বছরের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানের শরণার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। আফগানিস্তানের শরণার্থীর সংখ্যা ২৭ লাখ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। দেশটির শরণার্থীর সংখ্যা হল ১১ লাখ। সুদানের শরণার্থী ছয় লাখ ৭০ হাজার, দক্ষিণ সুদানের শরণার্থী পাঁচ লাখ নয় হাজার। এরপরে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মায়ানমার ও ইরাক।
২০১১ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সিরিয়ায় সঙ্ঘাতে দুই লাখ লোক নিহত হয়েছেন এবং দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।