হ্যাপীর মামলায় কারাগারে রুবেল
চিত্রনায়িকা নাজনীন আকতার হ্যাপীর করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত এই আদেশ দেন।
সকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন করেছিলেন রুবেল।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে মিরপুর থানায় মামলা করেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আকতার হ্যাপী। (মামলা নং-৩৭)। মামলা দায়েরের পর শনিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয় হ্যাপীকে।
এরপর ১৫ ডিসেম্বর রুবেল হাই কোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে।
হ্যাপীর অভিযোগ নাকচ করে রুবেল বলে আসছেন, এই তরুণী তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছে।
হ্যাপী নারী নির্যাতন আইনে মামলা করায় পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে।
ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি হ্যাপীকে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে, এমন কোনো আলামত চিকিৎসকরা পাননি।
হ্যাপীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজের আবেদনে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষারও অনুমতি দিয়েছে।
২১ বছর বয়সী হ্যাপীর দাবি, ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় রুবেলের। বিয়ের কথা বলে নয় মাস ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছিলেন রুবেল।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী হ্যাপী ‘কিছু আশা কিছু ভালবাসা’ চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেত্রীর ভূমিকায় ছিলেন। তার অভিনীত আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়।
তার অভিযোগ, রুবেল অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর তাকে এড়িয়ে চলায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন।
আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়া রুবেলকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য হ্যাপী হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করলেও আদালত তা খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।