এশিয়ার ‘সেরা ব্যাংকার’ ড. আতিউর রহমান
প্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতার সঙ্গে আপস না করেই পরিবেশ ও সামাজিক সচেতনতায় পুঁজির প্রবাহ বাড়ানোর স্বীকৃতি হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
লন্ডনের প্রভাবশালী দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের ব্যাংক ও অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ গত সোমবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে তাকে ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর অব দ্য ইয়ার-২০১৫’ ঘোষণা করে।
একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা অঞ্চলের সেরা গভর্নরদের নামও জানানো হয় অর্থনীতি বিষয়ক সাময়িকীটির ওয়েবসাইটে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে বহাল করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই পুরস্কার সরকারপ্রধানকে উৎসর্গ করেন গভর্নর।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আতিউর বলেন, এটি আমার একক সাফল্য নয়। আমি এবার আমার এই সাফল্যের স্বীকৃতিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করছি, যিনি আমাকে পর পর দু’বার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে বিশ্ববাসীর নজরে আনার সুযোগ করে দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে চার বছরের জন্য দায়িত্ব নেন আতিউর। এরপর তাকে আরো এক মেয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বে রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। ২০১৬ সালের ২ আগস্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশে ‘স্থিতিশীল অর্থনীতি’ বজায় রাখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং, গ্রিন ব্যাংকিং এবং সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘বিশেষ’ অবদান রাখার জন্যই আতিউরকে এই স্বীকৃতি।
২০১৫ সালে আতিউরের সঙ্গে এই স্বীকৃতি পেলেন পেরুর হুলিও ভেলারাদ, জর্জিয়ার জর্জি কাদাজিৎসে, ওমানের হাম্মুদ বিন সাঙঙ্গুর আল জাদজালি ও মোজাম্বিকের আর্নেস্তো গোভ।
১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণকারী আতিউর রহমান কর্মজীবনে ব্যাংক ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক হিসেবে সমভাবে খ্যাত। প্রকৃতিপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা এই অর্থনীতিবিদ দরিদ্র জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিয়েও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।
গভর্নর হওয়ার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করা আতিউর।