লন্ডনে ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি মেধাবী ছাত্র নিহত
ইস্ট লন্ডনের পপলারে ছুরিকাঘাতে নিহত আজমল আলম নামের এক মেধাবী ছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি, গার্ডিয়ান ও হাফিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য সমর্থন করে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পপলারের স্পে স্ট্রিটে বেড়াতে গেলে একদল দাঙ্গাবাজের হামলার মুখে পড়ে আজমলসহ কয়েকজন বাংলাদেশি। এ সময় আজমল এবং তারে সঙ্গী আরেক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে দাঙ্গাবাজরা। দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়। চিবুকে ছুরিকাঘাতের জখম নিয়ে অন্য তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কোন ধরনের উস্কানি ছাড়াই আজমলদের ওপর হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ কর্মকর্তা অ্যান্ডি ক্লেমার্স সাংবাদিকদের বলেন, আজমলরা চার বন্ধু ঘুরছিল। ওই সময় পাঁচ থেকে ছয়জন দুষ্কৃতকারী তাদের ওপর হামলা চালায়। এদের মাথায় কাপড় বাঁধা ছিল। এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আজমলের ওপর হামলার স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।আজমলের বয়স ১৬ বছর। এই তরুণ ল্যাংডন পার্ক স্কুলের কৃতি ছাত্র ছিল । জিসিএসই ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় ছিল সে। ওই স্কুলের ক্রিস ডুনে গার্ডিয়ানকে বলেন, আজমল আমাদের সেরা ছাত্রদের একজন। সে ছিল অসাধারণ, পরিশ্রমী ও চিন্তাশীল। আজমল তাক লাগানো ফল করবে।আজমল টেভয়েট এস্টেটে তার বাবা, মা দুই ভাই ও এক বোনের সঙ্গে থাকত। ওই এলাকাতেই হামলার মুখে পড়ে প্রতিশ্রুতিশীল এই তরুণ।ঘটনাস্থলের কাছে থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, হামলাকারী যুবকরা আরেক তরুণকে খুঁজছিল। তারা ভুল করে আজমলের ওপর হামলা চালায়। আজমলের মৃত্যুর খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যান টাওয়ার হ্যামলেটের সাবেক মেয়র দরস উল্লাহ। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতিশীল একটি তরুণের এই ধরনের মৃত্যু দেখতে হল।ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকার কারণে আজমলকে মরতে হয়েছে।যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে, ১০ বছর আগেও তা এমন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না, বললেন দরস উল্লাহ।স্থানীয় কাউন্সিলর ওলিদ আহমেদও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, একটি সম্ভাবনাময় জীবনের করুণ মৃত্যু ঘটল।বেদনাদায়ক এই ঘটনায় আজমলের পরিবার ভেঙে পড়েছে ।