স্ত্রীকে সুটকেসে লুকিয়ে চেকপোস্ট পার
তাকে আর তার বউকে ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দিতে হবে। কয়েক বছর ধরেই প্রশাসন ও আদালতের কাছে এ আবেদন করে যাচ্ছেন লাটভিয়ার ৩০ বছর বয়সী বোগডেন ক্রোইটর।
কিন্তু আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, বোগডেনকে ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দেয়া হলেও মোলদোভার বাসিন্দা তার স্ত্রীকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এরপর বোগডেনের স্ত্রীকে দু’দুইবার ব্রিটেনে ঢুকতে চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবারই তার পথ আটকে দেয়া হয়।
কিন্তু স্ত্রীকে তার কাছে রাখতেই হবে। স্ত্রী থাকবেন এক জায়গায়, আর তিনি থাকবেন আরেক জায়গায় এটা মানতে চাইলেন না বোগডেন। তাই এক ফন্দি আঁটেন বোগডেন। তিনি ঠিক করেন, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে তার স্ত্রীকে ব্রিটেনে নিয়ে যেতে আঙুলটা একটু বেঁকাতে হবে।
গাড়িতে করে ব্রিটেনে ঢোকার আগে চেকিং হতে পারে। এ আশঙ্কা থেকে তিনি স্ত্রীকে সুটকেসে লুকিয়ে রাখলেন। রওনা দিলেন ব্রিটেনে। কয়েকটা চেকপোস্টে চেকিংয়ের পরেও বোগডেন ধরা পড়েনি।
এভাবে যেতে যেতে খুব আনন্দ হচ্ছিল বোগডেনের। স্ত্রীকে নিজের কাছে এখন থেকে রাখতে পারবেন, এ আনন্দে বেশ ফুরফুরে লাগছিল তার।
কিন্তু বিধি বাম! এক চেকপোস্টে ধরা খেয়ে যান তিনি। সুটকেস খুলতেই দেখা গেল, ভেতরে আস্ত একজন মানুষ বসে আছে। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে যান বোগডেন। এবার ১৪ মাসের জেলের শাস্তি ভোগ করতে হবে বোগডেনকে।