দেশপ্রেম জাগ্রত করার উপায় ‘মানসম্মত’ শিক্ষা
দেশপ্রেম জাগ্রত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ‘মানসম্মত’ শিক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালগুলোর আচার্য আবদুল হামিদ।
রোববার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ এ্যাডভোকেট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীল কর্মকান্ড চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশে অবদান রাখতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জসহ বিজ্ঞানমনস্ক, অসম্প্রদায়িক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একবিংশ শতাব্দীর নাগরিক। বর্তমান সময়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানে আন্তর্জাতিকমানে গড়ে তুলতে হবে।
গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকের এই সমাবর্তন একদিকে যেমন তোমাদের অর্জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে তেমনি দায়িত্বও অর্পণ করছে। সেই দায়িত্ব নিজের পরিবারের প্রতি, সমাজের প্রতি, সর্বোপরি দেশ ও জাতির প্রতি। তোমাদের এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে সমাজের মেহনতি মানুষের অবদান রয়েছে। তাদের কাছে তোমরা ঋণী।
রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নিরন্তর শিক্ষা ও গবেষণাসহ জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যায় হয়ে উঠুক জ্ঞান চর্চা ও বিকাশের শ্রেষ্ঠ পাদপীঠ-এ প্রত্যাশাই রইলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম সমাবর্তন বক্তা হিসেবে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া’র ভিসি প্রফেসর তালাত আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সব কিছুর চেয়ে শিক্ষার্থীরাই প্রধান। বড় বড় দালান-কোঠার চেয়ে শিক্ষার্থীদের উৎকর্ষতার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচিত হয়। তাই তোমাদের যে পরিবেশে শিক্ষা দেয়া হয়েছে পেশাগত একাগ্রতা, দক্ষতা ও ব্যক্তিগত শক্তিমত্তার মাধ্যমেই তার সীমা অতিক্রম করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হকের সঞ্চালনায় সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সাওয়ার জাহান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নবম সমাবর্তনে ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ টি অনুষদ ও ৫ টি ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি, এমফিল, স্নাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারী চার হাজার ৭৭১ গ্রাজুয়েটকে সনদ প্রদান করা হয়।