বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রাক বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে
ফুটবল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের জন্য প্রাক বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। এএফসি র্যাঙ্কিয়ে ৩৪ নাম্বার থাকার কারণেই এ সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ফলে আট গ্রুপের একটি হয়ে সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পাবে লাল-সবুজ জার্সির দলটি।
এতে প্রথম যাত্রায় হোম এন্ড অ্যাওয়ের ভিত্তিতে আটটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন ও চার বেস্ট রানার্সআপরা সরাসরি খেলবে ২০১৯ এর এশিয়ান কাপে। এদের নিয়েই হবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। আর কঠিন এই লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় ধাপের বাছাই পর্ব খেলার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
২০১৮ রাশিয়ায় বিশ্বকাপ এবং ২০১৯-এর এশিয়ান কাপ ফুটবল দু’টিই বাছাই পর্ব একত্রে আয়োজনের সিদ্ধান্ত আগেও নিয়েছিলো এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে (এএফসি)। বাংলাদেশকে প্রাক বাছাই পর্ব খেলতে হবে, নাকি সরাসরি বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পাবে তা নিয়েই ছিলো অনিশ্চয়তা। আজ কেটে গেলো সেই অনিশ্চয়তা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাই’র পর এএফসির ৪৬ দল এন্ট্রি করেছে। এ কারণেই এএফসি র্যাঙ্কিয়ে ৩৫ থেকে ৪৬ পর্যন্ত থাক ১২ দলকে খেলতে হবে প্রাক বাছাই পর্ব। র্যাঙ্কিয়ে ৩৪তম স্থানে থাকায় এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রাক বাছাই পর্ব থেকে উতরানো ছয় দল আর এএফসি র্যাঙ্কিয়ের শীর্ষ ৩৪ দল অংশ নিবে যৌথ বাছাই পর্বে। এই ৪০ দলকে ৮ গ্রুপে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে বাছাই পর্ব।
এ পর্বে বাংলাদেশের দিনক্ষণও চূড়ান্ত করে দিয়েছে এএফসি। চলতি বছরের ১১ ও ১৬ জুন, ৩ ও ৮ সেপ্টম্বর, ৮ ও ১৩ অক্টোবর, ১২ ও ১৭ নভেম্বর এবং আগামী বছরের ২৪ ও ২৯ মার্চ, এই দশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশকে আটটি হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। তারিখ চূড়ান্ত হলেও এখনও প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি বাংলাদেশের। মার্চ শুরু হওয়ার প্রাক বাছাই শেষেই ঠিক হবে যৌথ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। এই বাছাই পর্ব ছাড়াও এশিয়ান কাপের ফাইনাল রাউন্ডে খেলার দারুণ সুযোগ থাকছে তাদের।
এএফসির নতুন ফরমেটে ৮ গ্রুপের ৮ চ্যাম্পিয়ন ও ৪ বেস্ট রানার্সআপ সরাসরি খেলবে এশিয়ান কাপের চূড়ন্ত পর্বে। এরপর এই ৮ গ্রুপের অবশিষ্ট ৪ রানার্সআপ, তৃতীয় স্থান পাওয়া ৮ দল, চতুর্থ স্থান পাওয়া ৮ দল এবং পঞ্চম স্থান পাওয়া সেরা ৪ দলসহ মোট ২৪ দলকে ৬ গ্রুপে ভাগ করে হবে আরেক পর্বের খেলা। এই ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল (১২ দল) যোগ্যতা অর্জন করবে এশিয়ান কাপের ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের। এশিয়ান কাপের ফাইনাল রাউন্ডে খেলতে না পারলেও এখানেও হোম এন্ড অ্যাওয়েতে আরও ছয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।