দুই নেত্রীর সমালোচনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
অব্যাহত রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সত্ত্বেও সামাজিক অগ্রগতির সূচকে বাংলাদেশের অর্জন আশাব্যঞ্জক।গতকাল বুধবার হাউজ অব কমন্সে দেয়া এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে।
গণতন্ত্রের দুর্বল চর্চার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সমালোচনা করা হয়েছে এতে। এছাড়া গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রায় অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো করছে। অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশটির সামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
সম্প্রতি ৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ সকল পক্ষকে আলোচনার বসারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সব দলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং ধৈর্য্য ধারণ ও নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানায় ব্রিটেন।
হাউজ অব কমন্সের বিবৃতিতে দুর্বল গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্লেষণেও গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার আন্তরিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার আশার জায়গা হচ্ছে, সেনাবাহিনী ফের হস্তক্ষেপ করবে এবং অলৌকিক কোনো ক্ষমতাবলে আওয়ামী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং চলমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দাতারা যেকোনো ধরনের অবরোধ আরোপ থেকে বিরত রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রায় অব্যাহত রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুই নেত্রীর সংঘাত বিচার ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’