দাড়ি রাখার লড়াইয়ে এক মার্কিনির চূড়ান্ত জয়
যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের এক মুসলিম বন্দিকে তার ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী আধা ইঞ্চি লম্বা দাড়ি রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
ধর্মীয় অধিকারের বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেয়। এর মাধ্যমে দেশটির এ রাজ্যে বন্দিদের দাড়ি রাখার ব্যাপারে যে নীতি কার্যকর ছিল তা অকার্যকর হয়ে গেল।
গ্রেগরি হোল্ট নামে এই মুসলিম বন্দিকে ঘিরে এক মামলায় বিচারকরা ৯-০ ভোটের ব্যবধানে বন্দিদের দাড়ি না রাখার ব্যাপারে রাষ্ট্রের যুক্তিকে খারিজ করে দেয়। রাষ্ট্রের যুক্তি হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থে দাড়ি না রাখার বিধান করা হয়েছে।
আদালতের পক্ষে এক লিখিত রায়ে বিচারক স্যামুয়েল আলিতো বলেন, রাষ্ট্র ইতোমধ্যে কাপড়চোপড় এবং চুল তল্লাশি করে। কিন্তু রাষ্ট্র কেন দাড়ি তল্লাশি করতে পারবে না এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য কোনো যুক্তি দেওয়া হয়নি।
হোল্ট বলেন, দাড়ি রাখতে না দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রের নীতি তার ধর্মীয় বিশ্বাসের অধিকার লঙ্ঘন করছিল যা ২০০০ সালে প্রণীত দেশটির একটি আইনের পরিপন্থী।
হোল্টের আইনজীবী খতিয়ে দেখেন যে ৪০টির বেশি রাজ্য এবং ফেডারেল সরকার বন্দিদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়।
হোল্ট তার মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী আধা ইঞ্চি দাড়ি রাখতে চেয়েছিল কিন্তু রাষ্ট্রের বিধিনিষেধের কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।
চুরির অপরাধে হোল্টকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। তিনি এখন আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ভার্নার সুপারম্যাক্স কারাগারে সাজা খাটছেন।