বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
মিসর সেনাবাহিনীর নির্মম ও বর্বর হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। তেহরান বলেছে, মিসর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বুধবারের রক্তক্ষয়ী হামলার জন্য তুরস্ক মিসরের সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করে বলেছে, কোনোভাবেই তাদের এ কাজ সমর্থনযোগ্য নয়। মিসর সামরিক বাহিনীর এ অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতিবেশী সিরিয়ার মতো মিসরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি আরো বলেছেন, আমি শঙ্কিত যে মিসর অমোচনীয় সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে। মিসরের হত্যাকা-কে গণহত্যা অভিহিত করে তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, শিগগিরই আন্তর্জাতিক সমাজকে বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আরব লীগকে অবশ্যই গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এরদোগানের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এটি পরিষ্কার, মিসরে সামরিক ক্যু’র প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থন রয়েছে এবং তাদের নীরবতার কারণেই মিসরের সামরিক বাহিনী আজকের হত্যাকা- চালানোর উৎসাহ পেয়েছে।
এদিকে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিসর কর্তৃপক্ষকে ধৈর্য ও শান্তিপূর্ণপথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিসরে হত্যাকান্ডের ঘটনাকে চরম দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছে এবং মিসরীয় কর্র্তৃপক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। ইউ’র পররাষ্ট্র নীতি প্রধান ক্যাথারিন অ্যাশটন বলেন, হতাহতের খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিসরে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ব্রিটেন শক্তি প্রয়োগের নিন্দা করেছে এবং মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, আমি বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদে শক্তি প্রয়োগের নিন্দা ও সেনাবাহিনীর প্রতি সংযম প্রদর্শনে আহ্বান জানাচ্ছি। জার্মানি আর কোন রক্তপাত যাতে না ঘটে তার জন্য উভয়পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।