ক্যামেরনের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বহীন এনএইচএস এবং ইমিগ্রেশন
আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল যে ছয়টি বিষয়কে প্রচারণার জন্য প্রধান্য দিয়েছে তাতে বহুল আলোচিত এনএইচএস এবং ইমিগ্রেশন নেই। এ অবস্থায় নতুন করে সমালোচনায় পড়েছে ডেভিড ক্যামেরনের দল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরোধী দল লেবার পার্টি এবং সরকারের অংশীদার লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টি এনএইচএস এবং ইমিগ্রেশনের মত বিষয়গুলোকে ভোটারদের কাছে ভিন্নরকম গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে পারে। ইতোমধ্যে সমালোচনা উঠেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এনএইচএস-এর এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সি সেবা প্রদানে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে টোরি দলের কোনো মাথাব্যথা নেই। চিকিতসা সেবাকে তারা বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিতে চায় বলে দলটি তাদের নির্বাচনি প্রচারণার তালিকায় বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছে।
আগামি নির্বাচনকে কনজারভেটিভ দলের নির্বাচনি প্রতিশ্র“তিতে প্রধান্য পাবে এমন ছয়টি বিষয়কে গত ১২ জানুয়ারি সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এবার দলটির নির্বাচনি প্রতিশ্র“তির তালিকায় স্থান করে নেয়া ছয়টি বিষয় হল- বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা, কর্মসংস্থান সৃস্টি, ট্যাক্সের হার কমানো, শিক্ষার উন্নয়ন, বাসস্থান সংকট মোকাবেলা এবং অবসরগ্রহণকারীদের সেবা নিশ্চিত করা।
কনজারভেটিভ দলের একজন মূখপাত্র বলেন, আগামী মাসগুলোতে এনএইচএস এবং ইমিগ্রেশন বিষয়ে পুরোমাত্রায় বিতর্ক হবে। ওই বিতর্ক থেকে কনজারভেটিভও পিছিয়ে থাকবে না। তবে তিনি বলেন, বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা এবং সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ের ওপর নির্ভর করছে এনএইচএসের সেবার মান। আর কনজারভেটিভ পার্টি অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকেই বেশি নজর দিচ্ছে।
কনজারভেটিভ দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, এটা যেনতেন অর্থনৈতিক বিতর্কের বিষয় নয়। এটা এই দেশের মূল্যবোধের বিষয়। আমারা একটি জাতি হিসেবে বড় অংকের ঋণের বোঝা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে যাব আর তারা সেটা কখনো পরিশোধ করতে পারবে না- এমন পরিস্থিতি কারো কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নতুন করে অর্থ ধার করে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধির ফল হবে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা।